কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে হামলা: বিএনপির নেতাদের দাবি, আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে হামলা: বিএনপির নেতাদের দাবি, আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ১২ দলীয় জোটের বিভিন্ন নেতারা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান।

শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গিয়ে ফারুক হাসানের খোঁজ-খবর নেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তার ওপর হামলার নিন্দা জানান তিনি এবং বিচার দাবি করেন।

ফারুক হাসানের ওপর হামলার জন্য ছাত্রদল বা জাতীয় বিপ্লবী পরিষদকে দায়ী করার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন রাশেদ খাঁন। তার অভিযোগ, ওই সমাবেশে গণঅভ্যুত্থান পক্ষের নামে সেজে আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা চালিয়েছে।

অপরদিকে, জামিনে মুক্ত আসামিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শাহবাগ থানায় মামলাটির তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে। তবে গ্রেফতার আসামিদের জামিনের বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেছেন, “আমরা সরকার ও বিচার বিভাগের কাছে পুনরায় আসামিদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি শহিদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সারজিস আলমের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয়। ফেসবুক পোস্ট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওঠে বেশ কিছু অভিযোগ।

আদালতের কাছে জামিন পাওয়ার পর আসামিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ে সমালোচনা তীব্রতর হচ্ছে।