খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন: আদালতে ব্যারিস্টার কায়সারের আবেগঘন বক্তব্য
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও আদালতের মাধ্যমে বিচারিক হয়রানির অভিযোগ তুলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন। হাইকোর্টে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের দণ্ড দেওয়ার বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
শুনানির সময় কায়সার কামাল জানান, খালেদা জিয়ার ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চলেছে এবং এর পেছনে শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশ ছিল। আদালতে তিনি বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার ওপর এই ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে।"
ব্যারিস্টার কায়সার দাবি করেন, খালেদা জিয়াকে পরিবার, সমাজ এবং রাজনীতির মাধ্যমে হয়রানি করা হয়েছে। তিনি বলেন, "তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন, আদালত থেকে বসার জন্য সামান্য সময়ও দেওয়া হয়নি। এই আচরণ মানুষের মৌলিক এবং সাংবিধানিক অধিকারকে লঙ্ঘন করেছে।"
তিনি আরও বলেন, "হাইকোর্টে ৫ বছরের সাজাকে বেআইনিভাবে ১০ বছরে উন্নীত করা হয়। এটি সম্পূর্ণ একতরফা রায়। আমাদের প্রস্তাব সত্ত্বেও শুনানির জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়নি।"
কায়সার কামাল আদালতে খালেদা জিয়ার ৩৪২ ধারায় দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরেন। খালেদা জিয়া বলেন, "আমি রাজনীতিতে এসেছি শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের মানুষের সুখ-দুঃখ এবং উত্থান-পতনের সঙ্গে জড়িত। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি"
আদালত আগামী ১৪ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ সময় আশা প্রকাশ করেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। খালেদা জিয়ার সমর্থকদের দাবি, এ ধরনের আচরণ শুধু বিচারিক প্রক্রিয়ার নয়, বরং মানবাধিকারেরও লঙ্ঘন।