জমজমাট বরিশালের বিনোদন কেন্দ্রগুলো

জমজমাট বরিশালের বিনোদন কেন্দ্রগুলো

ঈদের সরকারি ছুটি শেষ হয়ে গেলেও বরিশালের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের আমেজ এখনও শেষ হয়নি। নগরীর উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু উদ্যান, কীর্তণখোলা তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন ও মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, আমতলা স্বাধীনতা পার্ক, শহীদ কাঞ্চন উদ্যান, চৌমাথা লেকের পাড়, বিবির পুকুর পাড়, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ দপদপিয়া সেতু, বাবুগঞ্জের দুর্গাসাগর ও উজিরপুরের গুঠিয়া মসজিদসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো মানুষের ভিড়।

শিশু বিনোদন কেন্দ্র প্লানেট পার্ক, আমানতগঞ্জ শহীদ সুকান্ত বাবু শিশু পার্ক ও সিটি শিশু পার্কেও উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। 

ঈদের দিন থেকেই জমজমাট হয়ে ওঠে বরিশালের বিনোদনকেন্দ্রগুলো। ঈদের দ্বিতীয় দিন এবং সরকারি ছুটির তৃতীয় দিনেও ব্যাপক ভিড় ছিল পার্কসহ উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্রে।

শিশু পার্কে সন্তান নিয়ে আসা গৃহবধূ তাজনীন আহমেদ জানিয়েছেন, গত দুই বছর করোনার প্রকোপ থাকায় ঈদে শিশুরা ছিল বিনোদন বঞ্চিত। এবার করোনার প্রকোপ না থাকায় শিশুদের বিভিন্ন পার্কে নিয়ে যাচ্ছেন। 

বঙ্গবন্ধু উদ্যানের দর্শনাথী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে মানুষ ঈদে ছিলো ঘরবন্দি। সবাই বিনোদন ভুলে গিয়েছিলো। এ কারণে এবার শিশুপার্ক সহ সবগুলো বিনোদন কেন্দ্র দর্শনাথীদের ঢল নেমেছে।’ 

নগরীর প্লানেট পার্কের ব্যবস্থাপক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সকালের দিকেই সরব হয় বিনোদন কেন্দ্রগুলো। দুপুরের রোদের তাপ কমে যাওয়ার পর আবার সরগরম হয় পার্কগুলো।’ করোনার ক্ষতি পোষাতে এবার প্লানেট পার্কে বাড়তি আয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। 

দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঁঞা বলেন, ‘ঈদ ভালোভাবেই কেটেছে। ঈদ পরবর্তী সময়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় পোষাকধারী ও সাদা পোষাকধারী পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’