নাটোরে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ হত্যার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন, গ্রেফতার ১

নাটোরে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ হত্যার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন, গ্রেফতার ১

নাটোরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ কুমার দাস (৫৮) হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হয়েছে। পুলিশ ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গ্রেফতারকৃত সবুজ হোসেন (২৪) কে মহাশ্মশানে নিয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন নাটোরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন।

গ্রেফতারকৃত সবুজ হোসেন নাটোর সদরের বড় হরিশপুর এলাকার রমজান আলীর ছেলে। পুলিশ জানায়, গত ২১ ডিসেম্বর সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের বারান্দা থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ দাসের (৫৮) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তরুণ দাস ছিলেন আলাইপুর ধোপাপাড়া এলাকার কালীপদ দাসের ছেলে। তিনি প্রায়ই রাতে মহাশ্মশানের রান্নাঘরের বারান্দায় ঘুমাতেন।

ঘটনার রাতে ভান্ডার কক্ষ থেকে কাঁসা ও পিতলের মালামাল এবং অর্থ চুরি যায়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে তপু কুমার দাস নাটোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে তরুণ দাসকে শ্মশানের পাহারাদার, সেবায়েত ও পুরোহিত হিসেবে তুলে ধরা হলেও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ তরুণকে মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বলে ভুলভাবে উপস্থাপন করে বিবৃতি দেয়। পরে সংগঠনের নাটোর জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট খগেন্দ্র নাথ রায় এই তথ্য সংশোধনের জন্য অনুরোধ করেন।

পুলিশ সুপার জানায়, গ্রেফতারকৃত সবুজ মাদকসেবী এবং তার পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে ঘটনার রাতে লেবু বাগান থেকে লেবু চুরির উদ্দেশ্যে এসে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তারা ভান্ডার কক্ষের টাকা চুরির জন্য সেখানে ঢোকে। তরুণ দাস এই দৃশ্য দেখে ফেললে তাকে হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুজে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পর সন্দেহভাজন সবুজ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরিফুল ইসলাম, নাটোর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী এবং নাটোর থানার ওসি মাহবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।