পটুয়াখালীতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৮ জনের নামে মামলা

Sep 1, 2023 - 17:34
 0  32
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ১৮ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক- গোপনে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ও অনুমোদনের পায়তারা করায় ঘোপখালী হোসাইনিয়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাঃ বশির উদ্দিনসহ ১৮ জনের নামে মামলা হয়েছে।

 গত বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন ঐ মাদ্রাসার ছাত্রী অভিভাবক মো. লালু শরীপ। মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন, মো. আঃ হাই, মো. নূর ইসলাম, মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃ রাহিমা আক্তার, প্রভাষক মোঃ হাবিবুর রহমান, সহকারী শিক্ষক এ এম দেলোয়ার হোসেন, সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান, মো. রুহুল আমীন চৌকিদার, মো. মাসুদ খন্দকার, মোহাম্মদ নজিরুল হক, মো. খলিল মোল্লা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার (পটুয়াখালী সদর) মু. মাহফুজুর রহমান, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পরিদর্শক মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রেজিস্ট্রার মাদ্রসা শিক্ষা বোর্ড, চেয়ারম্যান মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

 মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ঘোপখালী গ্রামের মো. লালু শরীপ এর কণ্যা মারিয়া আক্তার মিম  ঘোপখালী হোসাইনিয়া আলীম মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। সেই সুবাদে মামলার বাদী  লালু শরীপ অভিভাবক শ্রেনীর একজন ভোটার। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নির্বাচনের লক্ষে তিনিসহ কতিপয় অভিভাবক ব্যাপক গনসংযোগ ও প্রচার-প্রচারনা শুরু করেন।

 তবে ম্যানেজিং কমিটি গঠন কল্পে বিধি মোতাবেক তপছিল ঘোষনা না করে ১নং বিবাদী অত্যান্ত গোপনে ২-১১ নং বিবাদীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগনের ভূয়া ঠিকানা ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করিয়া একই ব্যক্তিকে দ্বৈত ভোটার করিয়া কতিপয় ব্যক্তিদের ভূয়া ভোটার দর্শাইয়া এবং একাধিক মৃত্যু  ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করিয়া সম্পূর্ন বে-আইনীভাবে মনগড়া অভিভাবক শ্রেনীর ভোটার তালিকা  তৈরী করেন।

 অপরদিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পকেট কমিটি গঠনের লক্ষে অবৈধভাবে গোপনে  প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করিয়া নির্বাচনী তপছিল-২০২৩ প্রকাশ না করিয়া বে-আইনী ভাবে ২৩ জুলাই গোপনে নির্বাচন দেখাইয়া  ঐ ভূয়া কমিটি অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেন। বিষয়টি অবগত হইয়া বাদী এ মামলা দায়ের করেন। এ অবৈধ কমিটিতে মো. নূর ইসলামকে ২নং সদস্য রাখা হয়েছে তিনি এ মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী এবং ১নং সদস্য আঃ হাইকে জমিদাতা হিসেবে রাখা হলেও তার কোন জমি এ মাদ্রাসার নাই।

 এছাড়া মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে অনেকেই আগ্রহী থাকা স্বত্বেও অধ্যক্ষ মাদ্রাসার আর্থিক  অনিয়ম ও দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে এবং নিজে আর্থিকভাবে  লাভবান হওয়ার লক্ষে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, হিসাব সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী, এবং পরিছন্ন কর্মী ও আয়া (মহিলা) পদগুলো শূন্য থাকায় ২নং বিবাদীর ছেলে আবুল হাসান, ৩নং বিবাদীর কণ্যা মোসাঃ শাহিদা ও ভাগিনা আলামিনকে নিয়োগ দেয়ার লক্ষে কতিপয় বিবাদীদের ম্যানেজ করে এ পকেট কমিটি  অনুমোদনের পায়তারা করছেন।

 বিবাদীগন যাহাতে ২৩ জুলাই তারিখের ম্যানেজিং কমিটির গোপন নির্বাচন  অনুমোদন না করেন এবং  অবৈধ ম্যানেজিং কমিটি যাহাতে মাদ্রাসা পরিচালনায় কোন কার্যক্রম করিতে না পারে সেলক্ষে অন্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

 

 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow