পিটিআই নেতারা সন্দেহ করছেন বুশরা বিবিকে
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের ইসলামাবাদে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে। ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থগিত, নেতাদের মধ্যে হতাশা।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতারা, নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়নের মুখে ইসলামাবাদের বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছে। বুধবার ভোরে খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর এবং দলের নেত্রী বুশরা বিবি সহ অন্যান্য নেতারা বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করেন। এর আগে বুশরা বিবি ঘোষণা করেছিলেন যে, ইমরান খানকে মুক্ত না করে তিনি বাড়ি ফিরবেন না। তবে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে গিয়ে তারা সরে যান।
জিও নিউজ সূত্রে জানা যায়, বুশরা বিবির নেতৃত্বে পিটিআইয়ের এই আন্দোলনে দলের মধ্যে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত, বুশরার একক সিদ্ধান্তের কারণে দলের নেতাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। দ্য নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটিআই নেতারা গহর আলী খান ও সাইফকে হাসান আবদাল থেকে ইসলামাবাদের দিকে মিছিল না করার জন্য হেলিকপ্টারে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মিছিলটি ইসলামাবাদে চলে যায়।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি পিটিআই নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন, তবে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে হয়। জানা গেছে, বুশরা বিবি আন্দোলনের পুরো নিয়ন্ত্রণ রাখছিলেন, এবং আলী আমিন গান্দাপুর বুশরার নির্দেশে সম্মত ছিলেন না।
ইসলামাবাদ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পর, পিটিআই নেতারা রাজধানী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। বুশরা বিবি এবং আলী আমিন গান্দাপুর একই গাড়িতে খাইবার পাখতুনখোয়া পালিয়ে যান। সেখানে তারা রাতভর অবস্থান করেন।
পিটিআই নেতা শওকত আলী ইউসুফজাই বলেছেন, আন্দোলন পরিচালনায় পিটিআই হাইকমান্ডের নেতৃত্বের অভাব ছিল। বিশেষত, দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত না থাকায় বিক্ষোভ কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি।
গত ২৪ নভেম্বর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিলের দাবিতে পিটিআই নেতারা ইসলামাবাদে রওনা হন। তবে পুলিশ ও রেঞ্জার্সের সঙ্গে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। সরকার ইসলামাবাদের রেড জোন এবং ডি চকে সেনা মোতায়েন করেছিল, যেখানে পুলিশ, রেঞ্জার্স এবং সেনা সদস্যরা ব্যাপক ধরপাকড় চালায়।
এদিকে, পিটিআইয়ের শীর্ষ দুই নেতা বুশরা বিবি এবং আলী আমিন গান্দাপুরের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে দলটির মধ্যে বিভক্তি এবং হতাশা প্রকাশিত হচ্ছে।