"পোশাকশিল্পের মজুরি বৃদ্ধি: শ্রমিকপক্ষের ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি প্রস্তাব, মালিকপক্ষ সময় চায়"

"পোশাকশিল্পের শ্রমিকরা নিম্নতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত বার্ষিক মজুরি ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং শ্রমিকদের আর্থিক চাহিদা বিবেচনা করে এই প্রস্তাব করা হয়েছে। মালিকপক্ষ এখনো চূড়ান্ত প্রস্তাব দেয়নি, সময়ের জন্য কমিটি পুনরায় সভা আহ্বান করেছে।

"পোশাকশিল্পের মজুরি বৃদ্ধি: শ্রমিকপক্ষের ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি প্রস্তাব, মালিকপক্ষ সময় চায়"

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, সেন্ট্রাল মিনিমাম ওয়েজ পুনর্নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ হওয়া উচিত। তারা বলেছেন, এ জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবও পাঠানো হয়নি মালিকপক্ষের কাছ থেকে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার খরচের জন্য তাদের প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।

গাজীপুর ও সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিকেরা তাদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য গত আগস্টে বিক্ষোভ করেছিলেন এবং কিছু সময় পরে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল। সে অনুযায়ী, ছয় মাসের মধ্যে মজুরি পুনর্মূল্যায়ন ও বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারকে প্রতিবেদন দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

তবে, মালিকপক্ষ এখনও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেয়নি, এবং শ্রমিকপক্ষের মতে, যদি মজুরি বৃদ্ধি ১৫ শতাংশ না হয় তবে মজুরি এবং জীবনযাত্রার মানের মধ্যে বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পাবে, যা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

অন্যদিকে, মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা আরো সময় চেয়ে ২৪ নভেম্বরের বৈঠকটির পুনঃনির্ধারণ করেছেন।