বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্রের বক্তব্য: গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী পরিস্থিতি
![বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্রের বক্তব্য: গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী পরিস্থিতি](https://ajkalersongbad.com/uploads/images/202501/image_870x_67815b249c416.webp)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, যারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তি হয়ে সচিবালয়ে ক্ষমতায় অধীন হয়েছেন, সেই মানুষগুলোই জনবিরোধী আচরণ করছেন। অভ্যুত্থান একটি শ্রেণিকে আকাশের চূড়ায় নিয়ে যায়, অন্য শ্রেণিকে একেবারে সরিয়ে ফেলে।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পান্থকুঞ্জ পার্কে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উমামা বলেন, ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করার মতো বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় নেই। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিধ্বংসী উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করা হলে তা শোনা হতো না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে ঢাকা শহরকে একটি ডাস্টবিনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এখন শহর নিয়ে নতুন পরিকল্পনার সময় এসেছে, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা শুধু কথাবার্তা বলে অভ্যুত্থানকে জাস্টিফাই করতে চায়।
সমাবেশে গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব বলেন, সরকার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তারা পান্থকুঞ্জ থেকে সরবেন না। বিগত সরকার জোর করে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শুরু করেছে, এলাকাবাসীর মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে ৪৫ প্রজাতির গাছ কেটেছে। আগের সরকার জলাশয়, মাঠ ও জনপরিসরের জায়গাগুলিও নষ্ট করেছে।
পরিবেশকর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা একই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ করেন। প্রায় এক মাস ধরে পান্থকুঞ্জ পার্কে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা শুক্রবার সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেন, যেখানে নাটক, প্রতিবাদী গান ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হয়।