মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতির অনৈতিক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সদস্যদের পদত্যাগ।

মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতির অনৈতিক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সদস্যদের পদত্যাগ।

আবদুল আলীম খান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃপটুয়াখালী বড় বিঘাই তিতকাটা দারুস সুন্নত সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতির অনৈতিক কার্যক্রম এবং অসৎ আচরনে ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করেছেন বিভিন্ন পদের সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যরা।

সাবেক প্রিন্সিপাল ও সভাপতির বিরুদ্ধে, প্রতিষ্ঠান প্রধান কতৃক দাতা সদস্যের সাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছ।

 

গভর্নিং বডির কমিটির ১৩ জন সদস্যদের মধ্যে ৮ জন সভাপতির অসৎ আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন পদের সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য,মোঃ শহিদ,মোহাম্মাদ আবদুল হাই,মোঃ আবুল হোসেন,সাদিয়া ইসলাম নিপা,নাসির উদ্দিন,মোঃ শহিদুল ইসলাম,সোনাবরু ২৭ সেপ্টেম্বর প্রিন্সিপালের কাছে পদত্যাগের স্বাক্ষরিত কপি হস্তান্তর করে।

কমিটির সভাপতি সাত্তার হাওলাদার তিনি অএ কমিটিতে আসার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে অশোভনীয় আচরন করে আসছেন।

হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠান প্রধান মারা গেলে ততকালীন ভাইস প্রিন্সিপাল কে প্রিন্সিপাল হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং গোপনে তিনি অর্থ আত্নসাৎ করে। এবং ভাইস প্রিন্সিপালের পদশূন্য হওয়ার আগেই আবার তিনি এই পদে নিয়োগ বিজ্ঞতি প্রকাশ করেন।

এসব বিষয় জানাজানি হলে কমিটির অন্যান্য সদস্যরা এর সত্যতা যাচাই করতে চাইলে তাদের প্রতি অশোভনীয় আচরনের মাএা বৃদ্ধি পায় তার।

গভর্নিং বডির সদস্যদের তোয়াক্কা না করে নিজ ইচ্ছামত সভাপতি ও প্রিন্সিপাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করেছেন বিভিন্ন পদের সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যরা।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে গভর্নিং বডির সদস্য, প্রভাষক বাংলা বিভাগের আবুল হোসেন জানান, আমরা সদস্য কিনা সেটাই মনে করছে না তাদের ইচ্ছামত নিয়োগ দিয়েছে আমাদের কমিটির কোন সদস্যের সাথে কোন ধরনের আলাপ আলোচনা না করেই নিয়োগ দিয়েছে আমরা জানতে চাইলে সভাপতি আমাদের সাথে অসদাচরণ করে এজন্য আমরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা চাই আবার নতুন করে কমিটি গঠন করা হোক।

তিতকাটা DS আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান,জুলাই মাসের ১০ তারিখ নিয়োগ দেওয়া হয়, গভর্নিং বডির সদস্যদের সম্মতিতেই। সভাপতি তিনি নিজেই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন পত্রিকায়। বিজ্ঞপ্তির পেপার নিয়ে যখন সবার সাথে বসে তখন কথার কাটাকাটি হয়। গভর্নিং বডির সদস্যরা সভাপতিকে বলে আমরা জানতে পারলাম না আপনি একা একাই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। এক পর্যায়ে শূন্য পদে নিয়োগের রেজুলেশন কোন সদস্য সই করেনি, তাই সদস্যদের সাথে অসাধারণ আচরণ করে এর জন্যই তারা আমার কাছে পদত্যাগের স্বাক্ষরিত কপি হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিয়ে সভাপতির সাথে কথা বলেছি শীঘ্রই এর সমাধান হবে।

গভর্নিং বডির সভাপতি ছত্তার হাওলাদার নিয়োগের ব্যাপারে তিনি জানান, আমরা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসেছি নিয়োগের ব্যাপারে সবার মতামত নিয়েই করা হয়েছে। আমার কথা হচ্ছে প্রতিষ্ঠান ভালো চলবে ভালো একজন লোক আসবে তাতে যেই হোক, এ ব্যাপারে গত ২৭ তারিখ প্রিন্সিপালের কাছে পদত্যাগের স্বাক্ষরিত কপি হস্তান্ত করেছে কি না আমি জানি না। আমি যে নিয়োগ দিয়েছি আমি কারো কাছ থেকে কোন চা বা কোন ধরনের টাকা পয়সা নেই নাই।