শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বৈঠক: আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনের পথে প্রথম পদক্ষেপ
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার চাপের মুখে ক্ষমতা ছাড়ার পর ভারতে অবস্থান করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আগামী জানুয়ারিতে দলের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। এটি দলটির পুনর্গঠন এবং পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে। শীর্ষ নেতাদের অনেকেই কারাগারে বা আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে দলটি কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত পুনর্গঠনের জন্য বিকল্প নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, দলটি আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে নতুন কৌশল নিয়ে সক্রিয় হবে। আর এ বৈঠক শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনামূলক ভাষণের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন মনে করেন, শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ দলটিকে টিকিয়ে রাখার কৌশলের অংশ। তার ভাষণে কী বার্তা দেওয়া হয়, তা আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
বর্তমানে দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই আটক, আত্মগোপনে বা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ভারতে ও লন্ডনে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তাদের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। এদিকে বিতর্কিত নেতাদের গণমাধ্যমে মন্তব্য করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
দলের মধ্যম সারির নেতারা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছে। এর আগে দলকে পুনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন করা হবে।