নির্বাচন সময়সূচি নিয়ে ঐকমত্য প্রয়োজন : ইসি সানাউল্লাহ

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত উইন্ডোর প্রথম দিকটা ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। তবে, নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে তা একটি ঐকমত্যের বিষয় এবং এটি সরকারের হাতে রয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, "প্রতিষ্ঠানসমূহের সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা নিশ্চিত করব, যারা মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন তারা নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবেন। নির্বাচন কমিশন একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া উপহার দিতে চায়, যাতে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস থাকে।"
নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে এমন প্রশ্নে আবুল ফজল বলেন, "এটি সরকারের হাতে। সংস্কারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বর তার বক্তব্যে নির্বাচন নির্ধারণে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। যদি রাজনৈতিক মতানৈক্য স্বল্পসংখ্যক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্মত হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এবং যদি আরও সংস্কারের সুযোগ থাকে, তাহলে ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "রোহিঙ্গা জনগণসহ কিছু নাগরিক বাংলাদেশের নাগরিক সেজে ভোটার হতে চায়, এবং তাদের ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সম্প্রতি নীলফামারী ও রংপুরে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার চেষ্টা ধরা পড়েছে, যা আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।"
নির্বাচন কমিশনার ছবি তোলা বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, "অনেকে ছবি তোলা নিয়ে দ্বিধান্বিত হন, তবে এটি জাতীয় প্রয়োজনে অপরাধ নয়। ইসলামিক স্কলারদের সহায়তায় জনগণকে এ ব্যাপারে সচেতন করা যেতে পারে।"
নতুন ভোটারদের জন্য এবারের প্রধান লক্ষ্য তরুণ জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। "আমরা চাই তরুণরা ব্যাপকভাবে ভোটে অংশগ্রহণ করুক এবং প্রধান উপদেষ্টা তরুণদের শতকরা ১০০ ভাগ ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসার লক্ষ্য দিয়েছেন," যোগ করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা, পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল হাসানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।