বা,জা,ম, স, স লিঃ এর অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবীতে সচিব ও নিবন্ধনসহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ

বা,জা,ম, স, স লিঃ এর অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবীতে সচিব ও নিবন্ধনসহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ

বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর অবৈধ  অন্তর্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিলের দাবীতে সচিব ও নিবন্ধনসহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন মাদারীপুরের শিবচর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর সদস্য মোঃ শাহিন ব্যাপারীর পক্ষে বাংলাদেশ  সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী প্রভাষ চন্দ্র তন্ত্রী (পিসি তন্ত্রী)।

আজ বৃহস্পতি বার এ  লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয় । তাহার মক্কেল মোঃ শাহিন ব্যাপারী কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়া ও তাহার নিকট হইতে বিস্তারিত বিষয় অবগত হইয়া সচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, স্থানীয় সরকার,  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, নিবন্ধক ও মহাপরিচালক, সমবায় অধিদপ্তর ও মহাব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃকে অত্র লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে অবগত করানো যাইতেছে যে, বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন বিগত কমিটি সম্পন্ন করতে না পারায় সমিতির সদস্যদের বাদ দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গত বছরের পহেলা অক্টোবর ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি অন্তর্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। ঐ কমিটির মেয়াদ গত ২৮ জানুয়ারী শেষ হয়ে যায়। এ কমিটিও নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ২৮ জানুয়ারীর পরে সমিতির ব্যবস্থাপনায় শূন্যতা বিরাজ করে। 

এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সমিতির প্রতি কোন গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সমিতির আয়ের প্রধান উৎস চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর পাড় সংলগ্ন নতুন মৎস্য বাজার, সিটি কর্পোরেশনের নিকট পরোক্ষভাবে হস্তান্তর  করেন। সিটি কর্পোরেশনের নিকট থেকে লীজপ্রাপ্ত হইয়া ইজারাদার সাইনবোর্ড টানিয়ে তাহার মক্কেলের মৎস্য বাজার থেকে টোল আদায় করে এবং মৎস্য বাজারটি সম্পূর্ণ রূপে দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করেন। এছাড়া মৎস্য বাজার থেকে আদায়কৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ সমিতির নামীয় ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়া নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করেন।


লিগ্যাল নোটিশে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের লকার থেকে ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ লুটের ঘটনার মতো প্রচুর সম্পদের প্রতি সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের লোলুপ দৃষ্টি পরায় তারা অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে ৪ মাসের কমিটি দ্বারা অভিষ্ঠ লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় এক বছর মেয়াদে উল্লেখিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পূনরায় কমিটি করার পায়তারা করছেন। যাহা সমবায় আইন ও বিধি পরিপন্থী। অর্থাৎ অন্তর্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটি  একবার নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হলে  তাদের দিয়ে আর কমিটি করা যায় না। অর্থাৎ শুধু  মাত্র সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা পুনরায় অন্তর্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটি দেওয়া আইন বহির্ভূত। এছাড়াও সমিতির নির্বাচন নিয়ে মহান হাইকোর্টে ২টি রিট পিটিশন যথাক্রমে ৯৬৩৭/২০২৪ ও ৯৭২৬/২০২৪ চলমান রহিয়াছে।


এ অবস্থায় সমিতির সদস্যদের সমন্বয়ে একটি অন্তর্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ দিলে আগামী তিন বছরের জন্য একটি নির্বাচিত কমিটি উপহার দিতে পারবে এবং তাহার মক্কেল উক্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যদের স্বার্থ রক্ষা করিতে পারিবে। যাহা সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা সম্ভব নয়।


লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে তিনি আরো জানান, লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে  সমিতির সদস্যদের সমন্বয়ে একটি অন্তর্বতী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করবেন। অন্যথায় তাহার মক্কেল আপনাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

লিগ্যাল নোটিশের অনুলিপি পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তাহার সেরেস্তায় রক্ষিত আছে বলেও জানান আইনজীবী প্রভাষ চন্দ্র তন্ত্রী।