ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশীয় পণ্য সমর্থনে রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আমরা ভারতের পণ্য বর্জন করছি কারণ তারা এই দেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে না। তাদের বন্ধুত্ব শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে।”
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকার ভুবন মোহন পার্কে ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিজভী। অনুষ্ঠানে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ হিসেবে তিনি রাজস্থানের জয়পুর টেক্সটাইলের একটি বেডশিট ছুঁড়ে ফেলেন। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা কেরোসিন ঢেলে বেডশিটটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেন।
রিজভী এ সময় ঘোষণা করেন, "এখানে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা কিছু কাপড় এনেছেন। এগুলো স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হবে," এবং এরপর কাপড়গুলো নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে বিক্রি করেন। সেখানে ২০০ টাকায় শাড়ি ও ১০০ টাকায় লুঙ্গি বিক্রি করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, "আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করছি কারণ তারা আমাদের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে না, তাদের বন্ধুত্ব শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে।" তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের ২৭ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে, আমরা উৎপাদন করি ৩৭ লাখ টন। কিন্তু নানা কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয় এবং ভারত থেকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। যদি আমাদের ব্যবস্থাপনা সঠিক হয়, তাহলে আমাদের আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।"
তিনি আরো বলেন, "ওরা মনে করেছে আমরা তাদের ওপর নির্ভরশীল, কিন্তু এখন তারা দেখতে পাচ্ছে কলকাতা নিউমার্কেট বন্ধ, দোকানগুলো চলে না। আমরা আর কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না, এটা আমরা ভারতকে জানিয়ে দিতে চাই।"
রিজভী বলেন, "আমাদের টাঙ্গাইলের শাড়ি, কুমারখালির লুঙ্গি-গামছা সারা পৃথিবীতে এক্সপোর্ট হয়। জামদানি শাড়ি, তাঁতের শাড়ি, রাজশাহীর সিল্ক পৃথিবী বিখ্যাত। তাহলে কেন আমরা ভারতীয় শাড়ি কিনব? যদি তারা আমাদের উপহাস করে, তবে কেন আমরা তাদের পণ্য কিনব? আমরা আর তাদের মুখাপেক্ষী থাকতে চাই না।"
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগরের সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউর রহমান রানা এবং অন্যান্য নেতাকর্মীরা।