অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ : ফারুক

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক মন্তব্য করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে, তবে সেই আস্থার পেছনে ষড়যন্ত্রের ছায়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখতে হলে দ্রুত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দেশে ইতোমধ্যে মঈন-ফখরুদ্দিন সরকারের চেয়েও বড় ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে এবং জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে, এখন প্রয়োজন কেবল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা।”
ফারুক আরও বলেন, ১৯৯১ সালের মতো সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের আওতায় আনা প্রয়োজন। দিনের ভোট দিনে করার মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান তিনি। মঈন-ফখরুদ্দিনের মতো আলাদা দল গঠন করা হলে দেশের মানুষ তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনকালকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং ভারতীয় স্বার্থে নতজানু হয়েছিলেন। সেই সময়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে মামলা ও নিপীড়ন চালানো হয়। তবুও আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সফল হয়েছি।”
সভায় উপস্থিত অন্যান্য নেতারা দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের দাবি তোলেন। ফারুক বলেন, “রোজার আগেই আওয়ামী সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ও অন্যান্য পণ্য কেনার ব্যবস্থা না হলে জনগণের মুগ্ধতার কোনো মূল্য থাকবে না।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, এবং দলের অন্যান্য নেতারা।