আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশে দুর্ভিক্ষ হয়

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশে দুর্ভিক্ষ হয়। ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাটের কারণে। এখন আবার দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে সেটাও সরকারের এক দশকের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাটের কারণে। অথচ কৃষকরা তখনও কৃষি পণ্য উৎপাদন করেছিলেন এখনও করছেন।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আগে বলেছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। এখন বলছে দুর্ভিক্ষের কথা। কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছে না। ডিজেলের দাম বেড়েছে। এভাবে কৃষকদের মাজা ভেঙে দিয়েছে। তারা এখন কৃষিকাজ না করে ভ্যান চালাচ্ছে। কৃষকদের উন্নয়ন করতে হলে দানবীয় সরকার হটাতেই হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন দেখলেই সরকার ভয় পায়। এজন্য জেলা পর্যায়ের সমাবেশে সরকার হামলা, ধর্মঘট ও পুলিশ দিয়ে বাধা দিচ্ছে। সিরাজগঞ্জে কামারখন্দে অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যৌথভাবে হামলা করে। হামলায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রোমানা মাহমুদসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। হবিগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা করেছে পুলিশ।
মির্জা ফখরুল বলেন. ২০১৮ সালের মতো তাদের (আওয়ামী লীগ সরকার) আর সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই পরিষ্কার করে বলছি, এখনি পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নইলে জনগণের উত্তাল তরঙ্গে এই সরকারকে ভেসে যেতে হবে।
সমাবেশে কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন সরকারকে সতর্ক করে বলেন, অবিলম্বে কৃষি উপকরণের দাম না কমালে গণভবন, বঙ্গভবন ঘেরাও করা হবে।
কৃষিপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশের জন্য কার্যালয়ের সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। বিকেল ৩টার পর কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ কার্যকর শুরু হয়। সার, বীজ, ডিজেল ও কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম কমানো এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, পরিচালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।
সমাবেশের কারণে নয়াপল্টন এলাকার ভিআইপি সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফলে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও সমাবেশের কারণে ওই এলাকার আশপাশের সড়কে যানজটের কারণে কিছুটা দুর্ভোগে মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আর সমাবেশে নিরাপত্তা জোরদারে সমাবেশস্থলের পাশে এবং নাইটিঙ্গেল মোড় পুলিশসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আমিনুল হক, তাবিথ আউয়াল, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন প্রমুখ।