চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল ভারত

বাংলাদেশে চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকেই এটা কার্যকর বলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জানিয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট রাশেদুল ইসলাম বলেন, এতদিন ভারত শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবে চাল রপ্তানি করে আসছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে ভারতীয় সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি মোবাইল ফোনে আমাদের জানিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে চালের আমদানি শুল্ক ৬২.৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ২৫ ভাগ নির্ধারণ করে সরকার। সেই সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দিলে ২০২১ সালের ২৩ জুলাই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা হিলিসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু করেন। গত ২৮ আগস্ট চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে চালের আমদানি যেমন বেড়েছে তেমন চালের দাম কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা করে দাম কমে আসছিল। কিন্তু এর মধ্যেই ভারত সরকার নতুন ঘোষণা দিয়েছে।
তারা চাল রফতানি বন্ধ করেনি তবে চাল রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে চালের আমদানি মূল্য বেড়ে যাবে, এতে দেশের বাজারে শুল্ক কমানোর ফলে যে মূল্য কমেছিল সেটি আবারও বাড়বে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, আমদানির অনুমতি পেয়ে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত রেখেছিলেন আমদানিকারকরা। গড়ে প্রতিদিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেড় থেকে দুই হাজার টন চাল আমদানি হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ভারত সরকার চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
এর ফলে রপ্তানিকারকরা যেমন সমস্যায় পড়বে, তেমনি আমদানিকারকরাও পড়বে। আমরা ধারণা করছি, চাল রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশেটির সরকার।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় রপ্তানিকারকরা আমাদেরকে জানিয়েছে পূর্বে যে মূল্যে এলসি খোলা হয়েছে সেই মূল্যে তারা চাল রপ্তানি করতে পারবে না।