দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক ঋণ উত্তোলন ও আত্মসাতের মামলায় বরিশালে ঢাকা ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তাক ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুইকোটি টাকা করে জরিমানা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এ মামলায় খালাস পেয়েছেন কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিকসহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সাবেক কাউন্সিলর ও ঠিকাদারসহ তিনজন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন। দণ্ডিতরা হলেন- ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক কেএইচএন আসাদুজ্জামান ও সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবীর।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন- ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিক মনজুরুল আহসান ফেরদৌস, বিসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন জেলাল এবং ঠিকাদার আলতাফ হোসেন তালুকদার।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার, জাল গ্যারান্টি পত্র, জাল অ্যাসেসমেন্ট ব্যবহার করে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের বরিশাল শাখা থেকে ঋণ উত্তোলন করা হয়।
দণ্ডিত দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ২০১০ সালের ১৬ মে থেকে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখায় দায়িত্ব পালনকালে এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে।
পরে আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়লে ব্যাংকের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট আ. মালেক হাওলাদার বাদী হয়ে মহানগরীর কোতয়ালি মডেল থানায় ২০১৩ সালের ৬ আগস্ট পৃথক দুইটি মামলা করেন।
মামলার দুইটির একটিতে ৫২ লাখ ও অপরটিতে ২ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এবিএম আব্দুস সবুর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
বিচারক ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।