ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের বিক্ষোভ

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সড়ক অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও তাদের চলাচল অব্যাহত রাখার দাবিতে এই আন্দোলন।

ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের বিক্ষোভ

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। তাদের এ আন্দোলনের ফলে মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, গাবতলী, পল্টন, গুলিস্তান ও হাইকোর্ট এলাকার সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে, যা জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আজ রোববার সকাল থেকে তারা প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখেন। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী ইফতেখার হাসান জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করেই মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ চার রাস্তার মোড় ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ, মিরপুর ও কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেছিলেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা। পরদিন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও ডেমরা এলাকায় তারা বিক্ষোভ করেন। এতে ওইসব এলাকায়ও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এছাড়া, ১৯ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ঢাকার মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন, যা প্যাডেল চালিত রিকশা সমিতির দায়ের করা একটি রিটের প্রাথমিক শুনানির পর দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে এই আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদেশে আরো বলা হয়, ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং এটি পুরোপুরি অবৈধ। এই সিদ্ধান্তের পরপরই রিকশাচালকরা সড়কে নেমে তাদের চলাচল অব্যাহত রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।