তরুন প্রজন্মকে আইসিটি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে : মোস্তফা জব্বার

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণের জন্য আইসিটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞসহ সকল তরুন প্রজন্মকে আইসিটি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও ডিজিটাল বাংলাদেশ শীর্ষক’ এক বিশেষ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এ কথাগুলো বলেন।
গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টায় বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির আয়োজনে এ বিশেষ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেছিলেন। আর ২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের চারা রোপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়সহ আমরা যারা প্রধানমন্ত্রীর পাশে রয়েছি তাঁরা সকলে মিলে প্রধানন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফলকে জনগণের দোঁড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশ যে পথ দেখিয়েছে তা অন্য অনেক দেশের জন্য স্বপ্নের মত।
বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, জনসংখ্যা স্বরূপের দিক থেকে বাংলাদেশ পরবর্তী ৫০ বছর উবসড়মৎধঢ়যরপ উরারফবহফ দেশ হিসেবে থাকবে। এই সময়ে আইসিটি শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠি যদি বাড়ানো যায় তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ কয়েক বছরের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশে পরিনত হবে। আর এজন্য প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান। বর্তমান সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমাদেরকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের পথ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফলকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়ে তরুন জনগোষ্ঠিসহ একটি বড় অংশকেও এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণের পথ সুগম করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি আয়োজিত এই ওয়েবিনারে আরও যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজ মো: হাসান বাবু, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাসিম আক্তার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. রামেশ্বর দেবনাথ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি মো: তমিজউদ্দিন আহমেদসহ বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির প্রায় দেড় শতাধিক সদস্য।