নগরীতে স্বামীর ঘরে নববধূর মৃত্যু

নগরীতে স্বামীর ঘরে নববধূর মৃত্যু
বরিশালে স্বামীর বাড়িতে সদ্যবিবাহিত কলেজছাত্রী সুস্মিতা সরকারের (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৯ জুন) সকালে সুস্মিতার বাবা স্বপন সরকার বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় স্বামী মাইনুল ইসলাম শান্ত ও শাশুড়ীকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে শনিবার (৮ জুন) নগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ধোপাবাড়ির মোড় এলাকায় শান্তর ঘর থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সুস্মিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এটি হত্যা নয়, বরং আত্মহত্যা বলেই ধারণা পুলিশের। নগরের নবগ্রাম রোড এলাকার বাসিন্দা স্বপন সরকারের মেয়ে সুস্মিতা সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। রোববার (৯ জুন) শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহের ময়না-তদন্ত সম্পন্ন হয়। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে শনিবার রাতেই আটক হওয়া স্বামী শান্তকে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাকে স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল হক জানান, শান্তর সঙ্গে সুস্মিতার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পাঁচ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করেন। এরপর রোববার রাতে শান্ত তার ঘর থেকে স্ত্রী সুস্মিতার গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছে হত্যার অভিযোগে শান্তকে আটক করে। ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তারপরও যেহেতু মেয়ের পরিবার হত্যার অভিযোগ করেছে তাই হত্যা মামলাও নেওয়া হয়েছে। মেয়ের বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শাশুড়ী মিলে নির্যাতন করতো। সবশেষে নির্যাতন করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে শান্তর পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছে। তাছাড়া যখন ঘটনা ঘটেছে তখন শান্ত বাসায় ছিলো না বলে জানিয়েছে। তাই বিষয়টি একটু রহস্যময় মনে হচ্ছে। ময়না-তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক রহস্য বেরিয়ে আসবে।