নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগা জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগা জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ভারত সফরের প্রথম দিনে নয়াদিল্লিতে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগা জিয়ারত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার তিনি সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেন। এসময় তিনি ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে নফল নামাজ আদায় ও মোনাজাতকালে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ  কামনা করেন। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগার বিভিন্ন অংশে যান। 

ভারতে সুফি সংস্কৃতির অন্যতম পবিত্রস্থান এই দরগাটি প্রায় ৭০০ বছরের পুরনো।

বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিয়মিত নিজামউদ্দিন দরগায় জিয়ারতে যেতেন।

প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফরের শেষ দিনে রাজস্থানে আজমির শরীফ দরগা জিয়ারত করবেন।

বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালে আজমির শরীফ জিয়ারত করেন। এর আগে ২০১০ সালে যখন তিনি দ্বিতীয়বারেরমতো প্রধানমন্ত্রী হন তখনও আজমির শরীফ জিয়ারত করেন।

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী আজ ভারতের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

ভারত সফরের প্রথম দিন আজ বিকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর মৌর্য হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর স্যুইটের সম্মেলন কক্ষে তার সাথে দেখা করেন।

পরে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি একই স্থানে শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান ও মিসেস জাকিয়া হাসনাত ইমরান আয়োজিত এক রিসেপশন-কাম-ডিনারে যোগ দেবেন।

সফরের দ্বিতীয় দিনে ৬ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত আলোচনা করবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পরে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হবে।

শেখ হাসিনা পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তার সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। একই দিন শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সাথে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ৬ সেপ্টেম্বর তিনি রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। 

পরের দিন ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তার সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন। একই দিনে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দেখা করার কথা রয়েছে।

৭ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সভায় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদানের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ, আজমির (আজমির শরীফ দরগাহ) জিয়ারত করবেন।