বরিশালে করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হামলা

বরিশালে করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হামলা

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেনের অভাবে একজন রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মৃতের ক্ষুব্ধ স্বজনরা চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং একটি আইসিইউ মেশিনের উপর হামলা করে বলে পাল্টা অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে রোগীর মৃত্যুতে স্বজনরা কিছুটা উত্তেজিত হয়েছিলো। স্বজনরা চিকিৎসক-নার্সদের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম মনিরুজ্জামান (৪০)। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী এলাকায়। 

মৃতের ভাই হাফিজুর রহমান জানান, গত ১০ জুলাই করোনা ওয়ার্ডে মনিরকে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। গতকাল বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। এ সময় রোগীর স্বজনরা তাকে বাঁচাতে ডাক্তার-নার্সের স্মরনাপন্ন হলেও শেষ পর্যন্ত মারা যায় সে। রোগী মৃত্যুর জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী অক্সিজেন সরবরাহ না পাওয়া এবং হাই ফ্লো ন্যাজল ক্যানোলা মেশিন যথাযথভাবে কাজ না করাকে দায়ী করেন তিনিসহ মৃতের অন্যান্য স্বজনরা।  

তবে দায়িত্বরত চিকিৎসক এইচএম আতিকুল্লাহ জানান, ওই রোগীর শ^াসতন্ত্র প্রায় ৮০ ভাগ খারাপ ছিলো। তারা সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এতে তাদের কোন গাফেলতি ছিলো না।  

 এদিকে রোগী মৃত্যুর পর স্বজনরা চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং হাই ফ্লো ন্যাজল ক্যানোলার উপর হামলা চালায় বলে পাল্টা অভিযোগ করেন ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. এইচএম আতিকুল্লাহ এবং নার্স অপু রানী। নিরাপত্তাহীন পরিবেশে দায়িত্ব পালনে অনীহার কথা বলেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় পুরো ঘটনা জেনে কোতয়ালী থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সদের কাছে রোগীর স্বজনদের ক্ষমা চাইয়ে দিয়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। মৃত রোগীর স্বজনরা কিছুটা উত্তেজিত হলেও ভাঙচুরের তেমন কোন আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি। 

গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ওয়ার্ডে ৩জন পজেটিভসহ ১২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল চিকিৎসাধীন ছিলো ২৫৩ জন রোগী। করোনা ওয়ার্ডে ৪ দফা বাড়িয়ে শয্যা সংখ্যা করা হয়েছে ৩০০ টি। আইসিইউ রয়েছে ২২টি। আর অন্তত দ্বিগুণ রোগী আইসিইউর অপেক্ষায় রয়েছেন। হাই ফ্লো ন্যাজল ক্যানোলা রয়েছে ৬৯টি। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেবা রয়েছে ১০৩ জন রোগীর। অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ৪৭০টি