বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে লাগবে ইউনিক আইডি

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে ইউনিক আইডি তৈরির নির্দেশনা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। শিগগিরই এ বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
বৃহস্পতিবার ইউজিসি’র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় জাতীয় পরিচয়পত্র নেই এমন শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় আনার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনতিবিলম্বে ইউনিক পরিচিতি নম্বর তৈরিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র আছে এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজ সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ছাত্র ভর্তিসহ সকল কার্যক্রম এখন থেকে উল্লিখিত ইউনিক পরিচিতি নম্বরের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইউনিক পরিচিতি নম্বর তৈরি করে শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজ কমিশনে প্রেরণ করতে হবে। কমিশন শিক্ষার্থীদের ইউনিক পরিচিতি নম্বরের ডাটাবেজ পাওয়ার পর টিকা প্রদানের জন্য পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ গুণগত উচ্চশিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার জন্য একটি ডাটাবেজ তৈরি করা প্রয়োজন। এসব শিক্ষার্থীদেরকে জরুরি ভিত্তিতে কোভিড -১৯ টিকা প্রদান করা না হলে দ্রুততম সময়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের ইউনিক পরিচিত নম্বর শুধুমাত্র কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের জন্য নয়, বরং এটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। এই ইউনিক পরিচিতি নম্বর বর্তমান ও ভবিষ্যতের সকল শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর হিসেবেও কাজ করবে।
উল্লেখ্য, এর আগে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টিকার দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইউজিসি যা এখনো চলমান রয়েছে।