মোদিকে বরণে প্রস্তুত বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২ দিনের সফরে শুক্রবার ঢাকা আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সদলবলে মুজিব কোট পরে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া মোদি ও তার সফরসঙ্গীদের নিরাপত্তায় ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানী সেজেছে বর্ণিল সাজে।
শুক্রবার সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোদীকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; দেওয়া হবে লালগালিচা সংবর্ধনা। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন মোদি; পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি।
এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বিকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
গত বছরের মার্চেই মোদির বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীরর কারণে তা পিছিয়ে যায়। এর আগে ২০১৫ সালের ৬ জুন দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দপদ্যায়ের । ওই সফরে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মমতার বিরোধীতায় তা আটকে যায়।
এবারও তিস্তা নিয়ে কিছু থাকছে না বলে গণমাধ্যমকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে আমাকে সারাক্ষণ প্রশ্ন করা হয়। এ বিষয়ে আমি বলেছি, তিস্তা চুক্তির খসড়ার প্রতিটি পাতায় পাতায় সই হয়েছিল। আর যে খসড়ায় সই হয়, সেটা বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। কী কারণে চুক্তিটি হয়নি, কারণটা আপনারাও জানেন। আমরাও জানি। আমরা তিস্তা নিয়ে ভারতকে প্রেশারে রেখেছি। আপনারাও রেখেছেন।’