রাজধানীতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

রাজধানীতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করে বামপন্থী ছাত্রসংগঠন আয়োজিত সমাবেশে ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ২০ বাম ছাত্র নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তারা।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

এ ছাড়া হামলায় দেশ রূপান্তরের আলোকচিত্রী রুবেল রশিদসহ দুই সাংবাদিক আহত হন। 

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা জানান, মোদির আগমনের বিরোধিতা করে মঙ্গলবার তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। তারা টিএসসি থেকে মিছিল বের করে শহীদ মিনার ঘুরে আবার টিএসসিতে আসেন। এরপর তারা মোদির কুশপুত্তলিকায় আগুন দেন। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সেই আগুন নিভিয়ে ফেলতে যায়। তখন ছাত্রজোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের কথাটাকাটাটি হয়। 

তারা আরো বলেন, এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

দেশ রূপান্তরের অলোকচিত্রী রুবেল রশিদ বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার তলপেটে বেশ কয়েকটি লাথি দেয়। তাদের হামলায় মানবজনিমের আলোকচিত্রী সাংবাদিক জীবন আহমেদও আহত হন।  

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আল কাদেরী জয় বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। ছাত্রলীগ অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা করে। 

ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ জানান, ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসমানি আশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা মেঘ মল্লার বসু, ছাত্রফ্রন্ট নেতা প্রগতি বর্মণ তমা, সোমাসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী।

হামলায় ছাত্রলীগের মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্র সংসদের জিএস শান্ত, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজকে হামলায় অংশ নিতে দেখা যায়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুশপুত্তলিকায় দেওয়া আগুন নেভাতে এলে দু'পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর ছাত্রলীগ লাঠি দিয়ে কয়েকজনকে পেটায়। 

এ সময়ে রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগ মোদিকে স্বাগত জানিয়ে সমাবেশ করছিল। হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি