রুয়েট ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ

রুয়েট ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) আরবান প্ল্যানিং (ইউআরপি) বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর ফুদকিপাড়া এলাকার এবেলা ছাত্রাবাসের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মেহেদী রংপুর নগরীর কোতোয়ালি থানার বনানীপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে।

খবর পেয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, "প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেহেদী আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।"

তিনি আরও বলেন, "মরদেহ উদ্ধারের পর রাতেই তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা শনিবার সকালে রাজশাহীতে এসে মরদেহ গ্রহণ করবেন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

মেহেদীর পরিবারের সদস্যরা তার হঠাৎ মৃত্যুর খবরে শোকাহত। পরিবার জানায়, তিনি পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেন এবং তার এমন সিদ্ধান্তের কোনো আগাম ইঙ্গিত ছিল না।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ এই ঘটনার কারণ নিশ্চিত করবে। এদিকে, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং আবাসিক সমস্যাগুলো নিয়ে রুয়েট প্রশাসনের নজরদারির দাবি উঠেছে।

এই দুঃখজনক ঘটনায় রুয়েট ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।