লকডাউন-বৃষ্টিতে থমকে আছে বরিশাল নগরী

করোনাভাইরাস রোধে সরকারের দেয়া কঠোর বিধিনিষেধ প্রথমদিনে বরিশালে জোরদার ভাবে পালিত হয়েছে। সকাল থেকে সীমিত পারিসরে কিছু মানুষের আনাগোনা থাকলেও দুপুরের পর শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। বরিশাল নগরীর প্রায় রাস্তঘাট বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। বৃষ্টি শুরুর পর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। লকডাউন আর বৃষ্টিতে নগরীর মানুষ থমকে গেছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী নগরীতে বিকেল দুইটা থেকে ৩টা প্রর্যন্ত ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে সন্ধ্যায় বৃষ্টিপাত থেমে গেলে রাস্তা-ঘাটে মানুষের ভীড় বাড়তে থাকে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের ২০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ গাড়ি বহর নিয়ে নগরীরর বিভিন্ন স্থানে করোনা সংক্রমণ রোধে জনসচেতনামূলক অভিযান পরিচালনা করে। অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে নগরীর বিভিন্ন চেকপোস্টে সরজমীনে তদরকি করেন।
এদিকে সরকারের দেয়া কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে নজরদাড়ীতে ছিল সেনাবাহিনী ও মেট্রোপলিটনের পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। অপরদিকে নগরীতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানপাট ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট অর্ধেক খোলা রেখে বেচা-কেনা করতে দেখা গেছে। তবে বড় বড় শপিংমল বন্ধ রয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনে বরিশাল নগরীতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনটি ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচলানা করা হয়েছে। নগীরর নথুল্লাবাদ থেকে মাক্সবীহিন চলাচল করার দায়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
রিক্সাচালক কামাল হোসেন বলেন, ‘করোনা আর বৃষ্টিতে আমাগো অবস্থা অনেক খারাপ। রাস্তায় যাত্রী নাই। সারাদিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করাই এহন অনেক কষ্টকর। বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালাইতে ভয় লাগে। এহন জ্বর হইলেই কয় করোনা হইছে। জীবনডা লইয়া বিপদে আছি।’
মুদিদোকান ব্যবসায়ী আল-আমিন গাজী বলেন, ‘অন্যান্য লকডাউনের চেয়ে এই লাকডাউন অনেক কার্যকর। সাধারণ মানুষেরা এখন অনেক সচেতন। দোকানে অতিরিক্ত ভীড় করে না। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দোকানে বেচা-বিক্রি করছি।’
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দীন হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কঠোর লকাডাউন বাস্তবায়নে নগরীতে র্নিবাহী ম্যাজিষ্টের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলবে। গত তিনদিন সীমিতি পর্যায়ে লকডাউন থাকলেও এবরা সেটা আরো কঠোর হবে। জনসাধারণ সরকারের দেয়া শর্ত অমান্য করলে জেল-জরিমানা করা হবে।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘লকডাউন এখন আরো জোরদার করা হয়েছে। তবে সকাল থেকেই সুন্দর ভাবে লকডাউন পালিত হয়ে আসছে। কিছু মানুষ কৌতুহল বশত রাস্তায় বের হলেও তাদের সতর্ক করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্তা নেওয়া হচ্ছে।