শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলা: আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে নতুন বিতর্ক

শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলা: আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে নতুন বিতর্ক

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে এক দলীয় জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়া। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বরাবরই আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার ছেলে রেজা কিবরিয়া। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি দাবি করে আসছেন, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা এবং ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিতর্কিত পোস্ট দেন। বুধবার (২৮ জানুয়ারি) দেওয়া ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, কিবরিয়া হত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে রেজা কিবরিয়ার মা ও পরিবার একাধিকবার আন্দোলন করেছে। এমনকি রেজা ও তার প্রয়াত মা আসমা কিবরিয়ার আপত্তির কারণেই শেখ হাসিনা তিনবার মামলার চার্জশিট পরিবর্তন করেছিলেন।

তিনি আরও দাবি করেন, কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার শেখ হাসিনার সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা ছিল। কিন্তু এতে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, "আমরা দেখেছি কীভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, অথচ নিজ দলের নেতাদের বিচার হয়নি।"

প্রেস সচিব আরও বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিদিনের ভাষণ তার মানসিক অবস্থার প্রতিফলন। তিনি প্রায় সবসময় তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টানতেন, যা তার স্থায়ী মানসিক আঘাতের লক্ষণ। তিনি দাবি করেন, "বিশ্বের অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতা প্রতিদিন তার পারিবারিক ট্র্যাজেডি নিয়ে কথা বলেন না।"

এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, "একজন শীর্ষ কূটনীতিক আমাকে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা সম্ভবত পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি)-তে আক্রান্ত। আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের শাসন পরিচালনার আগে মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।"

শফিকুল আলমের এই মন্তব্য সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।