সমুচিত জবাব দেওয়া হবে ২৫ জুন, বায়দুল কাদের

সমুচিত জবাব দেওয়া হবে ২৫ জুন, বায়দুল কাদের

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র আছে, ষড়যন্ত্র হবে তাই নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক যে অপবাদ দিয়েছিল, এদেশে যারা সমালোচনা করেছিল, এখনও করছে, তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে ২৫ জুন। সেদিন দেশবাসীর জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার নিয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই উপহার হচ্ছে পদ্মা সেতু।

বুধবার (৮ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অনেকে মরিয়া হয়ে ব্যর্থ করার চেষ্টা করবে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সবাই সতর্ক থাকবেন। যাতে শত্রুরা ভেতরে ঢুকে কোনো স্যাবটাজ করতে না পারে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সেদিন সবাই সুশৃঙ্খলভাবে আসবেন। মানুষ কত হবে বলা যাচ্ছে না। ১০ লাখ টার্গেট করা ঠিক হবে না। ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখও হতে পারে। তবে জনতার ঢল নামবে এটা বলতে পারি। মানুষ পদ্মা সেতু দেখতে আসবে, শেখ হাসিনাকে দেখতে আসবে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু এক দিকে শেখ হাসিনার অসম সাহসের সোনালি ফসল। তার সততা ও সাহসের প্রতীক। বাঙালি জাতির অহংকারের প্রতীক, গৌরবের প্রতীক। আর একটা দিক হচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক আমাদের দুর্নীতি আর চুরির অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতু থেকে সরে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে অপমান করেছে। আমাদের ভাবমূর্তির উপর আঘাত হেনেছে। এ পদ্মা সেতু আমাদের শুধু সামর্থ্যের প্রতীক নয়, আমাদের অপমানের প্রতিশোধ। আজ বিশ্ব ব্যাংক স্বীকার করেছে অর্থায়ন থেকে সরে গিয়ে তারা বড় ভুল করেছে। সেজন্য সেদিন সবাই আসবেন সেই অপমানের জবাব দিতে আসবেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে বলেন, বিএনপির মহাসচিব বলেছেন পদ্মা নদীর এপারে ওপারে মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে দুটি ভিত্তিপ্রস্তর নাকি দিয়েছেন খালেদা জিয়া। রূপ কথার গল্প। তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা সাহেবকে ফোন করে জিজ্ঞেস করুন ফখরুলের বক্তব্যের সত্যতা কতটুক? তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী বলছেন, এনিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, কিন্তু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়নি। মির্জা ফখরুল কীভাবে এতো মিথ্যা কথা বলেন? এরা অন্তর্জ্বালায় মরে যাচ্ছে। এরা জানে পদ্মা সেতু হয়ে গেলে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

নেতা-কর্মীদের সেদিন একটু কষ্ট সহ্য করে ১ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এক কিলোমিটার হাঁটা বিষয় না। আনন্দে হেঁটে চলে আসবেন। প্রত্যেক সংসদ সদস্য নিজ এলাকায় নিজেরা সাজসজ্জা করবেন। পদ্মা সেতু শুধু পদ্মার আশাপাশের ১৯ জেলা নয়, উপকারভোগী সারা বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। বাস্তবে আরও অনেক বেশি বাড়বে। দক্ষিণ, দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাসহ সমগ্র দেশের মানুষের জন্য জীবনের সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ উপহার নিয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই উপহারের নাম পদ্মা সেতু।