সিলেটে এমসি কলেজে হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ মিছিল

সিলেটে এমসি কলেজে হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ মিছিল

শামীমা রহমান,ইবি প্রতিনিধি 

সিলেটের এমসি কলেজে হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় জিয়া মোড় থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের বিচার এবং তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের নামে স্থাপিত স্থাপনার নাম পরিবর্তন ও সিলেটের এমসি কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, “গত ১৭ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিসে যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে— সেখানে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তারা এসব দুর্নীতির নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানান।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক তানভির মন্ডল বলেন, “স্বৈরশাসকের দোসরদের বিচারের দাবিতে এবং এমসি কলেজে ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে আজকের এই বিক্ষোভ। আমরা এমন একটি সমাজ চাই— যেখানে বৈষম্যের কোনো স্থান থাকবে না।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদীরা যে শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, তা ভেঙে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা ক্যাম্পাসে ‘জুলাই স্পিরিট’ অনুসারে পরিচালনার দাবি জানাই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র ঘোষণার আহ্বান জানাই।”

আরেক সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, “আজকের এই পরিস্থিতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই দায়ী। প্রশাসন আওয়ামী লীগপন্থী ব্যক্তিদের লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে। ছাত্ররা আর নীরব থাকবে না। প্রয়োজনে আমরা আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবো।”

তিনি আরও বলেন, “যদি প্রশাসন দুর্নীতিবাদ ও আওয়ামী পন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা দেখিয়ে দেব কিভাবে আওয়ামীপন্থীদের বয়কট করতে হয়।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “আজ রাতে আমরা ভাষা শহীদদের স্বরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবো। জুলাই শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আপনারা দাঁড়িয়ে আছেন। এখানে শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করা কারো জায়গা হবেনা। প্রশাসন আওয়ামী পন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে, আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।”

তিনি বলেন, “বিগত স্বৈরাচারী সরকার তাদের শাসনামলকে টিকিয়ে রাখতে কিছু বুদ্ধিজীবী মহল তৈরি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিতে পারে, তাহলে ছাত্র জনতা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে‌।”

তিনি আরও বলেন, “এমসি কলেজে শিবিরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে— দোষী যেই হোক, তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”