সেন্টমার্টিন রক্ষায় পর্যটনে বিধিনিষেধের উদ্যোগ
সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রবাল রক্ষায় পর্যটক সংখ্যা সীমিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধারণক্ষমতার বাইরে পর্যটকদের চাপ এবং প্লাস্টিক দূষণ থেকে দ্বীপকে সুরক্ষিত রাখতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অতিরিক্ত পর্যটক প্রবেশের কারণে দ্বীপের পরিবেশ ও প্রবাল মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ ক্ষতি সীমিত রাখতে এবং সেন্টমার্টিনকে টেকসইভাবে রক্ষায় পর্যটকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তিনি বলেন, “সেন্টমার্টিনকে বাঁচিয়ে রাখতে ধারণক্ষমতা অনুযায়ী পর্যটক পাঠানো উচিত। বিধিনিষেধ দ্বীপকে রক্ষার জন্যই দেওয়া হয়েছে।”
শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বিআইসিসিতে এশিয়ান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “সবকিছুর একটি সীমা থাকে। ১০ বেডের হোটেলে যদি ৩০ জন অবস্থান করে, তাহলে সেবা ও পরিবেশ নষ্ট হয়। সেন্টমার্টিনেও একই ঘটনা ঘটেছে। প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে প্রবাল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি এমন এক ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে প্রথমে পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করতে হবে এবং পরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বড় ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে।”
পর্যটনে প্রভাব পড়বে না
সেন্টমার্টিনে বিধিনিষেধের কারণে দেশের সামগ্রিক পর্যটনে প্রভাব পড়বে না বলে উল্লেখ করেন হাসান আরিফ। তিনি বেসরকারি উদ্যোগে মেলার আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, “গ্রামের মেলার আমেজ এখানে পেয়েছি। এই ধরনের মেলায় বিদেশিরাও আসেন। তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য দেখতে উৎসুক। এসব মেলা দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
এশিয়ান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
গত ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এশিয়ান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ১৭ দিনব্যাপী চলছে। সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, মেলায় আসবাব, ক্রোকারিজ, কসমেটিকস, খেলনা, তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, প্লাস্টিকসহ নানা পণ্যের স্টল স্থান পেয়েছে।
উপদেষ্টার মতে, এ ধরনের মেলা শুধু পণ্য প্রদর্শন নয়, বরং বাংলাদেশের পর্যটন ও সংস্কৃতি তুলে ধরার একটি বড় প্ল্যাটফর্ম।