বিভাগের নাম পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের ভিন্নমত, মুখোমুখি অবস্থান কর্মসূচি

শামীমা রহমান,ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট’ বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে অপরদিকে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ নাম বাস্তবায়নের দাবিতে একই বিভাগের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে বিভাগের উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
বিভাগের নাম ‘জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট’ রাখার পক্ষের শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রাখতে হবে।২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর বিভাগ সংগঠিত ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন ঘটনা সমূহকে যারা বিভাগের ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ নাম ব্যবহার করে আখ্যায়িত করেছে এবং সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে, এর তীব্র নিন্দা জানাই। আর এই অপপ্রচার বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণের দাবি জানাই।’
অপরদিকে, বিভাগের নাম ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ করার পক্ষের শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘পাঁচ মাসের তালবাহানার পরে যদি কোনো ক্রমে আজকের একাডেমিক কাউন্সিল এবং পরবর্তী সিন্ডিকেটে আমাদের নাম পরিবর্তনের দাবির একটা অক্ষর নিয়েও যদি তালবাহানা করা হয়, তার পরবর্তী দিন থেকে কুষ্টিয়া–খুলনা মহাসড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করা হবে এবং দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পরবর্তী শিক্ষার্থীদের যেকোনো কার্যক্রমের জন্য দায়ী থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’
এ বিষয়ে বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারিয়া ইসলাম বলেন, “দেশের সুনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নামে বিভাগ রয়েছে। এছাড়াও আমাদের বিভাগের বর্তমান নামের সাথে জিওগ্ৰাফি সম্পর্কির অনেক বিষয় পড়ানো হয়। বাংলাদেশর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ নামে বিভাগ নেই শুধু যবিপ্রবি ব্যতিত। এছাড়াও সরকারী ও বেসরকারী চাকরির বাজারে জিওগ্ৰাফির সুযোগ–সুবিধা সবচেয়ে বেশি।”
অপরদিকে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, “আমাদের বিভাগের ৭টি ব্যাচ রয়েছে। অনার্সে অধ্যয়নরত ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীরা চায় নাম পরিবর্তন হোক। আমি ভর্তি হয়েছি ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড জিওগ্ৰাফি’ দেখে। পরে খুবই বিতর্কিত উপায়ে নামটি পরিবর্তন করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থী বান্ধব কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত না হয়, তাহলে এই নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ চালু হবে না এবং আমরা আমরণ অনশনে বসে পড়ব।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “আজকের সিন্ডিকেট সভায় বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি এজেন্ডা ভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে সবার আলোচনা ও মতামতের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত হবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সকল বিষয় বিবেচনা করা হবে।”