ইবি দাওয়াহ সোসাইটির আয়োজনে কুরআন প্রদান অনুষ্ঠান

ইবি দাওয়াহ সোসাইটির আয়োজনে কুরআন প্রদান অনুষ্ঠান
শামীমা রহমান, ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) দাওয়াহ সোসাইটির আয়োজনে ‘অর্থসহ কুরআন উপহার প্রদান অনুষ্ঠান–২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে কুরআন বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল কুরআন একাডেমি লন্ডন এর চেয়ারম্যান ড. মুনির উদ্দিন আহমদ ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন,“আমি ধন্যবাদ জানাই দাওয়াহ সোসাইটিকে এরকম একটি সুন্দর আয়োজন করার জন্য। কুরআন নাজিল হয়েছে মানুষকে বোঝার জন্য। কুরআনে বলা হয়েছে তুমি পড় তোমার প্রভুর নামে।এটি ছিলো মানুষের জীবনপন্থা। কিন্তু এটিকে আমরা তাবিজের কিতাব বানিয়ে নিয়েছি। কুরআন মানবজাতির জন্য হেদায়েত স্বরুপ।”
তিনি আরো বলেন,“কুরআন না শিখলে সত্যিকার অর্থে মুসলমান হওয়া যাবে না।ডাক্তার হওয়ার জন্য ডাক্তারির বই পড়তে হয়, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বই পড়তে হয়, আইনজীবী হতে হলে আইনের বই পড়তে হয়,তাহলে কুরআন বুঝা ছাড়া কিভাবে মুসলিম হবে?এটা কুরআনের দাবি।”
আলোচক ড. মুনির উদ্দিন আহমদ বলেন,“আল্লাহ তায়ালা কুরআন দিয়েছেন পড়ার জন্য,আমার জীবনে প্রতিফলিত করার জন্য, মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য,আমাদের বুঝার জন্য।আজকের পৃথিবীতে যে হারে মানুষ মুসলমান হচ্ছে,সবাই কুরআন পড়ে মুসলমান হচ্ছে। কুরআনের প্রতি মানুষের যে আগ্ৰহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।”
তিনি আরো বলেন,“সারা পৃথিবীতে কুরআন পড়া ও বুঝার অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু কুরআন পৌঁছানোর মতো প্রতিষ্ঠান খুব একটা নেই।সেই অভাব পূরণের জন্যই আমাদের আল কুরআন একাডেমি লন্ডনের প্রচেষ্টা। পৃথিবীর ২৫ টি দেশে আমরা কাজ করছি।”
ইবি দাওয়াহ সোসাইটির সভাপতি মো. মাহমুদুল হাসান কুরআনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,“কুরআন সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করার মানদন্ড।কুরআন নির্দিষ্ট কোনো একটি জাতির জন্য নাজিল হয়নি। কুরআন নাজিল হয়েছে পৃথিবীর সমগ্ৰ জাতির জন্য।একজন মানুষের জন্য যা কিছু প্রয়োজন – ব্যক্তিগত জীবন,ব্যবসায়ীক জীবন, আন্তর্জাতিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন, পারিবারিক জীবন, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি সকল কিছু কুরআনে দেওয়া আছে।”