ইবিতে ছাত্রী হলে পিঠা উৎসবের আয়োজন

শামীমা রহমান, ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ছাত্রী হলে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘পিঠা উৎসব–২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনা হলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. ওবায়দুল হাসান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ফখরুল ইসলাম,হল প্রোভোস্ট ড. এ কে এম শামছুল হক সিদ্দিকী উপস্থিতি ছিলেন। এছাড়াও হাউস টিউটর এবং হলের সকল ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল ৩টা থেকে পিঠা উৎসবের আয়োজন শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে হলের বাগানে সুসজ্জিতভাবে ২১ টি স্টলে বাহারি রকমের পিঠা বিক্রি চলতে থাকে নামমাত্র মূল্যে। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিরা এসে প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল হাসান সুন্দর আয়োজনের জন্য হল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,“হলের উদ্যোগে এবং সকল ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো হলে পিঠা উৎসবের আয়োজন এটাই প্রথম।জুলাই বিপ্লবের পরে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এসেছে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এ সফল আয়োজন। আপনাদের সকলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সুন্দর ছিলো।আজ উপাচার্য উপস্থিত না থাকলেও গতকাল তিনি এসে স্টল পরিদর্শন করে গেছেন। সুতরাং আজকের আয়োজন উদ্বোধন হয়েছে উপাচার্য মহোদয়ের হাতে এবং শেষ হচ্ছে উপ-উপাচার্যের হাতে।”
উপ-উপাচার্য ড. এম এয়াকুব আলী বলেন,“মেয়েদের হলে এতো সুন্দর সন্ধ্যা আমি উপভোগ করবো সেটা কখনো ভাবিনি। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াশোনা হবে,সেটাই কল্পনা করা যেতো না। পৃথিবীতে সকল বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হলেও একজন মেয়েকে সাংসারিক গুণাবলি শেখানোর মতো কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।আমার মেয়েদের নানান গুণাবলির সংমিশ্রণে পিঠা উৎসবে বাহারি রকমের পিঠা খেয়ে আমি অভিভূত হয়েছি।”
অনুষ্ঠানে পিঠা প্রতিযোগিতার বিষয়ে তিনি আরো বলেন,“প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটাই জিতে যাওয়া। প্রতিযোগিতায় যিনি হেরে যান তিনিও জিতে যান।আর যিনি জিতে যান তিনি আরো জিতবার আশা করেন।তোমরা জ্ঞানার্জন করো। বিদ্বানী হও।দেশ গড়ো। সকলের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা।”
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী প্রতিটি গ্ৰুপকেই পুরস্কার দেওয়া হয়।