গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের ১৩ দোকানে ডাকাতি

গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের ১৩ দোকানে ডাকাতি

বরিশালের  গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরে গণডাকাতি ডাকাতি সংঘঠিত হয়েছে। ডাকাতরা বন্দরের ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৩ লাখসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যায়। টরকি বন্দরের অদুরে পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও এ ধরণের ডাকাতি সংগঠিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

গত শনিবার দিবাগত রাতে ওই ডাকাতির ঘটনায় ১৩ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণডাকাতি করে পালরদি নদী হয়ে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হাফ প্যান্ট পরিহিত ২৫/৩০ জন সশস্ত্র ডাকাত দল বন্দরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শাটার ও তালা ভেঙ্গে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় দোকানের মধ্যে থাকা লোকজনদের মারধর ও জিম্মি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আলমারি এবং সিন্দুক ভেঙ্গে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। মুখোশ পড়া অস্ত্রধারী ডাকাত দল টরকী বন্দরের ভিতরে দুটি চেক পোস্ট বসিয়ে  দোকানের তালা বিশেষ যন্ত্র দ্বারা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ফিল্মি ষ্টাইলে ডাকাতি করে। তারা প্রথমে ৬ জন পাহাড়াদার, বন্দরে চলাচলরত ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও পথচারীসহ বহু মানুষকে বেঁধে জিম্মি করে ডাকাতি শুরু করে।

টরকি বন্দরের জেরিন এন্টাপ্রাইজের মালিক গাজী জাকির হোসেন জানান, তার দোকানের তালা ও সিন্দুক ভেঙ্গে দোকান তছনছ করে সিন্দুকে থাকা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

তালুকদার মেডিকেল হল বিকাশ পয়েন্টের মালিক অহিদুল ইসলাম জানান, ডাকাতরা বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে দোকানের ৪টি তালা ভেঙ্গে নগদ পৌনে ৪ লাখ টাকা লুট করেছে। এ ছাড়া মোল্লা এন্টাপ্রাইজ, পূন্য রায়ের গদি ঘর, নিত্য রায়, গোলক রায়, পরিমলের মুদি দোকান,  বিপুল দাসসহ ১৩ টি দোকানে ডাকাতরা ডাকাতি করে ট্রলার নিয়ে চলে যায়।
টরকী বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য রাজু আহম্মদ হারুন বলেন, অর্ধশতাধিক মানুষকে বেঁধে ফিল্মি স্টাইলে ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, সিগারেট লুট করা হয়েছে। 

গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাওলাদার বলেন, স্বাধীনতার পরে এ রকম ঘটনা টরকী বন্দরে আর কখনও ঘটেনি। অথচ এই বন্দরে একটি পুলিশ ফাঁড়িও রয়েছে। ঘটনাটি আমাদের বিস্মিত করেছে।

টরকি এলাকার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন সরদার  জানান, রাত ৪টার দিকে নৈশ প্রহরী এসে তাকে জানালে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে তার আগেই  দুষ্কৃতিকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে অনুসন্ধান চলছে। খুব শীঘ্রই রহস্য উৎঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।

এবিষয়ে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার জানান, খবরপেয়ে রোববার ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ডাকাতদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।