জাহাঙ্গীর গেটে চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যদের অবরোধ: তিন দফা দাবিতে আশ্বাস

প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর খুলে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট এলাকার সড়ক। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টা থেকে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ওই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী, বনানী, তেজগাঁও, বিজয় সরণিসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ এবং বিদেশগামী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
পরে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট অভিমুখে সীমিত পরিসরে যান চলাচল শুরু হয় এবং বেলা ১টার মধ্যে সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।
অবরোধকারীরা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘সহযোদ্ধা’-এর ব্যানারে সকাল ৮টা থেকেই জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় অবস্থান নেন। বেলা সোয়া ১১টায় তারা সড়কে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভকারীরা তিনটি দাবিতে আন্দোলন করেন—
১. চাকরিচ্যুতির সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত পূর্ণ বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল।
২. চাকরি পুনর্বহাল সম্ভব না হলে সরকারি সব সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতায় আনা।
৩. চাকরিচ্যুতির জন্য দায়ী একতরফা বিচারব্যবস্থা ও আইনি কাঠামো সংস্কার।
বিক্ষোভ চলাকালে সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ‘সহযোদ্ধা’র প্রধান সমন্বয়ক মো. নাঈমুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে জানানো হয়, সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে একটি পর্ষদ গঠন করে দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।