তরুণদের নিরুৎসাহিত করে লাভ নেই , তাদের রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ দরকার

তরুণদের নিরুৎসাহিত করে লাভ নেই , তাদের রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ দরকার

তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এবং জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা রাখার অধিকারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহণ, বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত 'ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন' শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি বলেন, তরুণদের রাজনীতি থেকে নিরুৎসাহিত করা আমাদের জন্য কোনোভাবেই লাভজনক নয়।

তিনি বলেন, “তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া উচিত। তাদের নিরুৎসাহিত না করে উৎসাহিত করা দরকার। আমি আশা করি, এই উদ্যোগ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রক আইন নেই। এটি বড় ধরনের সমস্যার কারণ। রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণের জন্য একটি আইনের প্রণয়ন প্রয়োজন। এটি সংবিধান সংশোধন ছাড়াই করা সম্ভব।”

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, অনেক রাজনৈতিক দল গঠন করেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক দল গঠনের ক্ষেত্রে আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হলে এই সংকট অনেকটাই দূর করা সম্ভব।”

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন বাণিজ্যের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলে বেসামরিক বা সামরিক কর্মকর্তা, আমলা কিংবা ব্যবসায়ীরা অবসর নেওয়ার পর বিপুল অর্থ ব্যয় করে মনোনয়ন পান। এটি রাজনীতিতে স্বচ্ছতার অভাব তৈরি করছে।”

তিনি আরও বলেন, “আগে একটি নিয়ম ছিল যে, কোনো ব্যক্তি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলে অন্তত তিন বছর যুক্ত থাকতে হবে। দুর্ভাগ্যবশত, এই নিয়মটি বাতিল করা হয়েছে। এটি পুনরায় চালু করা হলে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধে সহায়ক হবে।

সাখাওয়াত হোসেন রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থনৈতিক স্বচ্ছতার জন্য যৌথ স্টক কোম্পানি চালুর প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “অনেক দেশেই রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। বাংলাদেশেও এই প্রক্রিয়া চালু করা উচিত।”

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, শহীদুল্লাহ ফরাজী এবং সারোয়ার তুষার।

বক্তারা রাজনৈতিক সংস্কার, তরুণদের অংশগ্রহণ, এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।