নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারে তিন মাস যথেষ্ট: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন

নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারে তিন মাস যথেষ্ট: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন

নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারে তিন মাসের সময় যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, তিন মাসই যথেষ্ট। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিতে হবে।’

রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার না থাকার কারণে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করতে হয়েছিল। এখন কেন আবার তর্ক-বিতর্ক করতে হবে? নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠলেই উপদেষ্টাদের মুখ কালো হয়ে যায়, যা অযৌক্তিক। আমরা অন্যায় দাবি করছি না। তবে “কিংস পার্টি” গঠনের চিন্তা করবেন না। যারা রাজনীতি করতে চান, তারা আলাদা দল গড়ে তুলুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পার্লামেন্ট সংস্কারের জন্য সুযোগ তৈরি করুন। ছয় মাসেই বোঝা গেছে, আপনারা কতদূর এগোতে পেরেছেন। সময়ক্ষেপণ না করে সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। ছাত্র-জনতার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ না হলে বিদেশে আশ্রিতরা ফিরে এসে শেখ মুজিবকে প্রধানমন্ত্রী করত। আমরা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলাম দেশ বাঁচাতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুর্নীতি নজিরবিহীন। বিএনপির ত্যাগের ফলে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। এই সময় ঐক্যবদ্ধ থাকা আমাদের দায়িত্ব।’

ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তাদের পছন্দের নেত্রী বিদায় নেওয়ায় তারা গাত্রদাহে ভুগছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার প্রচেষ্টা আমরা দেখছি। তবে ভুলবেন না, আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি।’

অধ্যাপক ইউনূস সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসকে সম্মান করি, যদিও তার সফলতা দেখছি না। তবে তার প্রতি আমাদের সম্মান থাকবে।’

হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। মানবিকতা, সাম্য, এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ছিল মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য। জনগণ প্রোক্লেমেশন বুঝবে না, তাদের কাছে গণতন্ত্রই মুখ্য।’

সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ফজলুর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।