বাউফলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এখন শ্রমিক দলের নেতা

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রেজাউল সরদার ওরফে রেজু নিজেকে শ্রমিক দলের নেতা দাবি করে এলাকায় ফেস্টুন টাঙিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
রেজাউল সরদার এলাকার সড়ক-মোড়ে মোড়ে যে ফেস্টুন ঝুলিয়েছেন, তাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ স্থানীয় শ্রমিক দল নেতাকর্মীদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ফেস্টুনে রেজাউল নিজেকে কালাইয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি হিসেবে দাবি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেজাউল সরদার দীর্ঘদিন ধরে কালাইয়া সরকারি কবরস্থানের পাশে একটি আস্তানা তৈরি করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যুবলীগ নেতা মিজান মোল্লার শেল্টারে তার এ ব্যবসা পরিচালিত হতো। মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে রেজাউল একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, রেজাউলের মাদক ব্যবসার কারণে কবরস্থানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। তারা দাবি করেন, যুবলীগ নেতার শেল্টারে থাকার পর এখন রেজাউল শ্রমিক দলের পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা চালানোর চেষ্টা করছেন।
উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ মঞ্জু বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "রেজাউল সরদার শ্রমিক দলের কেউ নয়। যদি কেউ দলের পরিচয় ব্যবহার করে অনৈতিক কাজ করে, তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হবে।"
অভিযোগ অস্বীকার করে রেজাউল সরদার দাবি করেন, "আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।"
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, "মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সবসময়ই পুলিশ সোচ্চার। দলীয় পরিচয়ধারী হলেও কেউ ছাড় পাবে না। রেজাউলের বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"