শোকে হলি আর্টিজান আঙিনা

শোকে হলি আর্টিজান আঙিনা
তিন বছর আগে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের স্মরণে সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকরা কিছুক্ষণ পরপরই আসছেন বেকারি আঙিনায় নিহতদের স্মরণে। আজ ১ জুলাই ভয়াবহ ও পৈশাচিক ওই হামলার তিন বছর পূর্ণ হলো। ইতালি, ভারত, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের ২০ নাগরিককে ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যা করে পাঁচ জঙ্গি। পরে সেনাবাহিনী পরিচালিত অপারেশন থান্ডার বোল্টে এসব জঙ্গি নিহত হয়। এছাড়া জঙ্গিদের ছোঁড়া গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং পুলিশ, র‌্যাবসহ দেশি-বিদেশি অনেকেই আহত হন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে হলি আর্টিজানের রাস্তা দেখা গেল, পুলিশের নিরাপত্তা চৌকি। যা ভেদ করে প্রত্যেককে যেতে হচ্ছে সেই দুঃসহ ও ভয়াবহ স্মৃতিতে ঘেরা হলি আর্টিজান। গেট দিয়ে প্রবেশ করা মাত্রই চোখে পড়ে সবুজের সমারোহ, পাশের লেক। কিন্তু পূর্বের আনন্দঘন পরিবেশ আর নেই। রেস্তোরাঁ ভবনের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত লম্বা সাদা কাপড় খাটানো হয়েছে। ভবনের ঠিক মাঝখানে অস্থায়ী ফুলেল মঞ্চ বসানো হয়েছে। যাতে নিহতদের স্মরণে তাদের স্বজন বা তাদের দেশের মানুষসহ অন্যরা ফুল দিয়ে, নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলেন নিহতদের। সকাল ১০টার দিকে প্রথম ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন পুলিশের বিশেষ ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ডিআইজি মনিরুল ইসলাম। তার সাথে ছিলেন পুলিশের বিপুল সংখ্যক কর্মী। মনিরুল ইসলামের পর র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ফুলেল শোক জ্ঞাপন করেন। একের পর এক বিদেশিরাও শোকের ফুলসহ আসতে শুরু করেন। এর মধ্যে ছিল জাপানি, ইতালি নাগরিক। ছিল বাংলাদেশিরাও। রেস্তোরাঁর কর্মীও নিহত হয়েছিল। তাদের স্বজনরাও আসেন। এছাড়া খ্রিস্টান উপাসনালয় থেকেও ধর্ম প্রচারকদের আসতে দেখা যায়। তবে তারা সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলেননি। ফুলেল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে তারা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে একে অপরের সাথে স্মৃতিচারণ করেন। ঘুরে পুরো রেস্তোরার সীমানা দেখেন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা যাবে। ঘটনার পর থেকে এই রেস্তোরাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে গুলশান থানার কাছে একটি ভবনে রেস্তোরাঁর কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হয়।