ইবি উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান,দাবি শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার

শামীমা রহমান,ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্তকে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে ফের আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।
এ সময় ‘হাফিজ হটাও, ক্যাম্পাস বাঁচাও’, ‘শাস্তি না ছুটি, শাস্তি শাস্তি’, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রহসন মানি না, মানব না’, ‘সমকামীর ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ বলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ তদন্তে ছয় মাস সময় নিলেও কেবল এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই শিক্ষক ক্লাসে বাবা-মাকে নিয়ে গালি দেন এবং সমকামিতা প্রচার করেন। আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করছি।”
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কাজী মোস্তফা আরিফ বলেন, “কিছু অভিযোগের প্রমাণের ভিত্তিতে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রশাসনের।”
এদিকে শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দিয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাফিজুল ইসলামকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছে, যা বহিষ্কারের সমান। তাকে শোকজ করা হবে, কিন্তু আমরা স্থায়ী বহিষ্কার করতে পারবো না। তার বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারের বিষয়টি শুধুমাত্র পারবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। আমাদের এখতিয়ার অনুযায়ী আমরা প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি।”
উপ-উপাচার্য আরও বলেন, “আমরাও শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত। এই প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত আইনি ধাপ অনুসরণ করতে হবে, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই দেখেছি।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম. আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গুরুতর অভিযোগের দায়ে ২২ জানুয়ারির সিন্ডিকেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক হাফিজুল ইসলামকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটির পাশাপাশি একটি বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে অনড়।