উত্তাল সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে ইয়াবার বড় চালানসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের মিয়ানমার সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আসছে ইয়াবা। বিশাল অঙ্কের হুন্ডির টাকার মাধ্যমে অধিকাংশ ইয়াবার চালান ঢুকছে বাংলাদেশে। উত্তাল সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে এমনই এক ইয়াবার বড় চালানসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন বঙ্গোপসাগর চ্যানেল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা আটক করা হয়। এ সময় মিয়ানমারের ছয় নাগরিকসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট খায়রুল ইসলাম সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্ট মার্টিন বঙ্গোপসাগরের অদূরে প্রতিকূল আবহাওয়ায় উপেক্ষা করে র্যাব-১৫ দুঃসাহসিক এবং শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালায়। এ সময় ছয় মিয়ানমার নাগরিকসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মতে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আলী উল্লা (৫০), জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক-সি, ক্যাম্প সি-৪ এর আবু তাহের (৪০), টেকনাফ পৌরসভার দক্ষিণ জালিয়াপাড়া এলাকার জিয়াবুল হোসেন (২১), মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার প্রত্তুমনি থানার মেহেরকুল এলাকার মো. ইউনুস (৩৫), বদি আলম (২৩), এনামুল হাছান (২০), নূর মোহাম্মদ (২২), মো. রফিক (২১), সাদেক (২২)।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক খায়রুল ইসলাম সরকার জানান, সীমান্তে হুন্ডির টাকায় ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশের জলসীমানা হয়ে হাত বদল হতে পারে-এ খবরে মৌসুমের প্রতিকূল আবহাওয়ায়, উত্তাল সমুদ্রের ভয়াবহতা উপেক্ষা করে র্যাবের অভিযানকারী দলের সদস্যরা ছদ্মবেশে গভীর সমুদ্রে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে। একপর্যায়ে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করার সময় হাতেনাতে পুরো চক্রটিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার ইয়াবা ও গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক খায়রুল ইসলাম সরকার আরও জানান, সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা ও মাদক চোরাচালান বেড়েছে। বিশেষ করে হুন্ডির টাকা লেনদেনের মাধ্যমে এসব ইয়াবা চোরাচালান হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট একজন প্রভাবশালী সদস্য টেকনাফ পৌরসভার দক্ষিণ জালিয়াপাড়া এলাকার জিয়াবুল হোসেন। গ্রেপ্তার জিয়াবুল হোসেন একটি হুন্ডি কারবারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মিয়ানমারের স্থল ও জল সীমান্তে বেড়েছে ইয়াবা ও মাদকের চোরাচালান। অবাধে চোরাচালান বাংলাদেশের প্রবেশ করায় র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রতিদিন কোনো না কোন ইয়াবার চালান ধরা পড়ছে। সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর নজরদারি বাড়ানোর দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের।