জীবন দাঁড়িয়ে, থমকে আছে জীবিকা

জীবন দাঁড়িয়ে, থমকে আছে জীবিকা

বরিশাল নদীবন্দরে দোকান দিয়ে চলে অনেকের জীবন। সেই জীবন দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু করোনাভাইরাস এর প্রভাবে থমকে আছে জীবিকা। দীর্ঘ দেড় মাস পর আবার যখন নৌবন্দর থেকে ঘোষণা আসে যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচলা শুরুর। ঠিক ওই সময় নৌ-বন্দরের ব্যবসায়ীদের জন্য আবারও যেন দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করেছিল। সেই দুঃস্বপ্ন ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। নৌবন্দরের কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্ট কালের জন্য যাত্রিবাহি নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। সংকটে পরেছে বরিশাল নৌ বন্দরের ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (২৬ মে) বরিশাল নৌবন্দরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রিয়াজ সিকদার (৩৫) দোকান সাজিয়ে বসে আছে। অন্য দিকে ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে চলছে ধমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরণের বৃষ্টি তার মধ্যেই রিয়াজ সিকদার অপেক্ষায় বসে আছে সংসারের চাল কেনার জন্য টাকার জোগান দিতে।

রিয়াজ সিকদার ভোরের আলোকে বলেন, দীর্ঘ দিন দোকান বন্ধ থাকার কারনে সংসার চালান মুশকিল হয়ে উঠছে। পরিবারে ৬জন সদস্য সবকিছু আমিই চালাই। ছেলে মেয়েদের ঈদে নতুন জামাকাপড়ও কিনে দিতে পারি নাই। এমন পরিস্থিতি থাকলে জীবন চালানো আর সম্ভব না।

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটি এর উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আবহাওয়া ভাল হলে শীঘ্রই আমরা আবার লঞ্চ চলাচলের জন্য ঘোষণা করবো। 

উল্লেখ্য, বরিশালে দীর্ঘ দেড় মাস পর সব রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু ঘোষনা করে কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার সকাল ছয়টা থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করে বিলাসবহুল পাঁচটি লঞ্চ।

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর কারনে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় আবার লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করে বিআইডব্লিউটি এর কর্তৃপক্ষ।