তথ্যের অবাধ প্রবাহ সৃষ্টি হলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ সৃষ্টি হলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। ফলে দুর্নীতিও কমে আসবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা শূন্য সহনশীল (জিরো টলারেন্স) নীতি অনুসরণ করতে হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত তথ্য মেলার সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তথ্যের অধিকার সুশাসনের হাতিয়ার, তথ্যেই শক্তি দুর্নীতি থেকে মুক্তি এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দুইদিনব্যাপী তথ্য মেলার আয়োজন করে টিআইবির উদ্যোগে গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি। মেলায় সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ২০০৯ সালের আগে কোন তথ্য সরকারি-বেসরকারী সংস্থা থেকে তথ্য সেভাবে পাওয়া যেত না। তথ্য অধিকার আইন পাশ হওয়ার পর তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সব বাধা দূর হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন সঠিকভাবে নিশ্চিত হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। পুলিশ দুর্নীতি প্রতিরোধে যথাযতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের দোর গোড়ায় যেমন তথ্য পৌঁছে দিয়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে। এজন্য কেবল সেবা প্রদানকারীদের দায়িত্ব পালন করলেই হবে না। সেবা গ্রহীতা জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।
বুধবার রাতে অশ্বিনী কুমার টাউন হল মঞ্চে সচেতন নাগরীক কমিটির আয়োজনে ও জেলা প্রশাসকের সহযোগীতায় সমাপনি অনুষ্ঠানে সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের সাবেক সভাপতি ও শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাব সভাপতি অ্যাড. মানবেন্দ্র ব্যাটবলের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রশান্ত কুমার দাস, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রফসর শাহ্ সাজেদা, শিশু সংগঠক খেলাঘর সভাপতি জীবন কৃষ্ণ দে, সনাক সহসভাপতি কাজী সেলিনা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন তথ্যমেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও সনাক সদস্য শুভংকর চক্রবর্তী।
পরে আলোচনা সভা শেষে দুইদিন ব্যপি অনুষ্ঠানে দুর্নীতি বিরোধী শিশু শিক্ষার্থীদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, কলেজের শিক্ষার্থীদের ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিত ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুস্কার প্রদান করা হয়। এ ছাড়া মেলায় অংশগ্রহণকারী সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।