তিন পার্বত্য জেলায় মধু পূর্ণিমা উৎসব

মধু পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। পার্বত্যাঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা, মারমা ও রাখাইয়নরা ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে পালন করে থাকে উৎসবটি।
শুক্রবার তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে মধু পূর্ণিমা।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে পাহাড়ের বিহারে বিহারে শুরু হয় অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী চলে পূজা আর প্রার্থনা। রাঙামাটি রাজবনবিহারেও চলছে দু’দিনব্যাপী মধু পূর্ণিমার উৎসব। বিহার ঘিরে নেমেছে নারী-পুরুষে ঢল। বৌদ্ধ পতাকা আর কল্পতরু হাতে দলে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন এলাকার বৌদ্ধ ধর্মালম্বী নারী-পুরুষ। তাদের কণ্ঠে সাধু, সাধু, সাধু ধ্বনি উৎসবের আমেজ ছড়িয়েছে পাহাড়ে।
রাঙামাটি রাজবনবিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, রাজবনবিহার, রাঙামাটি বৌদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার, আনন্দ বিহার, সাক্ষ্যমনি বৌদ্ধ বিহার, ধনপাতা বৌদ্ধ বিহারসহ বেশ কয়েকটি বিহারে সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধ মূর্তি দান, মধু দানকার্য সম্পাদন করা হয়। এসময় পূণ্যার্থীরা বৌদ্ধ ভিক্ষুর কাছ থেকে পঞ্চশীল গ্রহণ করেন। প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয় বুদ্ধ মুর্তির সামনে।
বিকাল ৪টায় শুরু হয় মঙ্গল প্রার্থনা ও আকাশ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচি। তাই বিকাল হওয়ার আগে মোমবাতি ও ফানুস হাতে বৌদ্ধ বিহারে হাজির হয় বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষরা। মোমবাতির আলোয় রঙিন কাগজের ফানুস আর আতশবাজিতে সজ্জিত হয় পুরো আকাশ। সবার মুখে একটাই শব্দ উচ্চারিত হয় সাধু সাধু সাধু। এসময় রাঙামাটি রাজবনবিহারে সংরক্ষিত বনভান্তের মোমিতেও পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ভক্তরা। ধর্মীয় নির্দেশনা দেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।