বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটায় একজন এবং রাত পৌনে চারটায় দ্বিতীয় জন মারা যায়।
মারা যাওয়া দুই রোগী হচ্ছেন, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর এলাকার নাসির খানের ছেলে আসলাম খান (২৪) ও পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার গোসনতারা এলাকার আদম আলীর ছেলে সোহেল (১৮)। তারা দুইজন ঢাকা থেকে ডেঙ্গু ভাইরাস নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হেেয়ছিলেন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, মৃত আসলাম খান গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সোহেলকে সোমবার রাত দেড়টার দিকে ভর্তি করা হয়। রাত পৌনে ৪টার দিকে তিনি মারা যান। তারা দুইজন ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ডেঙ্গ সনাক্ত হওয়ার পরও চিকিৎসা না করিয়ে কেন গ্রামে গেলেন সেটা বুঝতে পারছি না। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমরা সেরকম সময় পাইনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা যান।
গত মঙ্গলবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে ১৫জন পুরষ এবং ৯ জন নারী। গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ৬৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ৩৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, অন্যান্য রোগীদের সাথে একই সাথে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাদের। ওয়ার্ডের টয়লেট-বাথরুমগুলোও নোঙরা-দুর্গন্ধময়। ওয়ার্ডে শয্যা না পেয়ে অনেকে স্থান পেয়েছেন মেঝেতে আবার কারোর স্থান হয়েছে ওয়ার্ডের বাইরে বারান্দায়। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সরকারীভাবে সকল ধরনের ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও শুধু নাপা আর গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়া কিছুই দেওয়া হয়না বলে জানিয়েছেন রোগীরা। এমনকি গ্লুকোজ স্যালাইনসহ অন্যান্য সকল ওষুধ বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হয় বলে তারা জানিয়েছেন। ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষায় সরকার ৫০০ টাকা ফি নির্ধারন করে দিলেও বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে দেড় থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায়ের অভিযোগ করেন রোগীদের স্বজনরা।