রিফাত হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে মিন্নি : পুলিশ সুপার

রিফাত হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে মিন্নি : পুলিশ সুপার
বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন। গ্রেফতারের আগে ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মিন্নি এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের কার্যালয়ে বরগুনার এই পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন। পুলিশ সুপার বলেন, যারা হত্যাকারী ছিল তাদের সঙ্গে মিন্নি শুরু থেকেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করেন। এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার আগে এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যা যা করা দরকার তার সবকিছুই তিনি করেছেন। হত্যাকারীদের সঙ্গে হত্যা পরিকল্পনার মিটিংও তিনি করেছেন। মিন্নি পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে দাবি করে মারুফ হোসেন বলেন, আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে, মিন্নি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। মিন্নি স্বীকার করেছেন বলেই আমরা এই বিষয়গুলো আদালতের কাছে তুলে ধরে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিমান্ড আবেদন করেছি এবং আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তিনি বলেন, এই মামলার বাদী যাদের হত্যাকারী দাবি করেছেন, আমরা কিন্তু রাতদিন জেগে থেকে তাদের অনেককে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। রিফাতের বাবার সংবাদ সম্মেলনের পরেই মিন্নিকে গ্রেফতার করা হয়- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুলিশ সুপার বলেন, এ বিষয়গুলো আসলে আইনের কাছে গুরুত্ব নেই। তদন্ত স্বচ্ছ এবং সাবলীল একটি প্রক্রিয়া। তদন্তের ক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলো সামনে আসে, আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে সেই সব বিষয়ে নিয়েই কাজ করেছি। শুধু আমি না, আপনারাও দেখেছেন ডিআইজি মহোদয়ও বেশ কিছু দিন এখানে অবস্থান করেছিলেন। প্রেস কনফারেন্স ও মানববন্ধন যা আমাদের তদন্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সে বিষগুলোকে বাদ দিয়ে আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ওপর রাজনৈতিক বা অন্য কোন মহলেরও চাপ নেই। রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিসহ এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এখন পর্যন্ত ১০ আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়