সিটি করপোরেশনের জীবানুনাশক স্প্রে, ঘরে থাকছে না মানুষ

করোনা সংক্রমণ এড়াতে বরিশালে এক সপ্তাহ ধরে লকডাউন চললেও কোনভাবেই ঘরে থাকছে না মানুষ। দিন দিন রাস্তাঘাট-বাজার এবং ব্যাংকে বাড়ছে মানুষ। বাজার রোড, পোর্ট রোড, সদর রোড, গীর্জা মহল্লা সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মতো চিত্র দেখা গেছে।
গত ১২ এপ্রিল নগরীসহ জেলা লকডাউন ঘোষণার পর গতকাল রবিবার সর্বাধিক মানুষজনের উপস্থিতি দেখা গেছে বাজারঘাট, রাস্তা এবং ব্যাংকে। রিক্সা, মোটর সাইকেল, বাই সাইকেল এবং ব্যক্তিগত যানবাহনের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
রাস্তায় বের হওয়া মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেউ পরিবারের নিত্য দ্রব্য বাজার করতে, কেউ ওষুধ কিনতে, কেউ ব্যাংকিং করতে, কেউ অফিসের চাপে কাজে নামতে বাধ্য হয়েছেন। তবে কিছু সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বের হয়েছেন বিনা কারণে নানা অজুহাতে। দিনের প্রথমভাগে এই চিত্র থাকলেও দুপুরের পর রাস্তাঘাটে মানুষ কমতে থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর সর্বত্র লকডাউনের চেহারা ফুটে ওঠে।
করোনা এড়াতে আবারও জনগণকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। একই সঙ্গে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে প্রতিদিন বরিশাল নগরীতে দুটি এবং জেলার প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে। জনগণকে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। এরপরও নির্দেশ অমান্য করে গণজমায়েত সৃষ্টিকারী কিংবা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালতসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বরিশালের রাস্তাঘাটে জীবানুনাশক তরল স্প্রে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সিটি করপোরেশন। রোববার নগরীর সদর রোডসহ প্রধান প্রধান সড়ক এবং অলিগলিতে জীবানুনাশক স্প্রে করেছে সিটি করপোরেশন। করোনার প্রকোপ না কমা পর্যন্ত জীবানুনাশক স্প্রে কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।