‘পুতিনের বাহিনীর সামরিক সরঞ্জামের অভাব’

‘পুতিনের বাহিনীর সামরিক সরঞ্জামের অভাব’

ইউক্রেনে হামলার জন্য ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া। এই ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে, পুতিনের বাহিনী অন্তঃসারশূন্য। তাদের প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম এবং পর্যাপ্ত জনবলের অভাব রয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন ইউরোপে নিযুক্ত মার্কিন বাহিনীর সাবেক কমান্ডিং জেনারেল মার্ক হার্টলিং। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

সোমবার ইরানি ড্রোন নিয়ে ইউক্রেনে হামলে পড়ে রুশ বাহিনী। রাজধানী কিয়েভে চালানো হামলায় একজন সন্তানসম্ভবা নারী ও তার স্বামীসহ চার জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

সিএনএন-এর সঙ্গে আলাপকালে মার্ক হার্টলিং বলেন, পুতিনের বাহিনী এখন ফাঁপা। সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল উভয় দিক থেকেই তাদের এই দশা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শাহেদ-১৩৬ ড্রোনের জন্য তাদের এখন ইরানের কাছে হাত পাততে হচ্ছে। 

এদিকে ইরানের তৈরি ড্রোন নিয়ে ইউক্রেনে রুশ হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। কিয়েভের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে দেওয়া ভাষণে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। আমরা অনেক দিন ধরে বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও যুক্তি শুনেছি। কিন্তু সত্য লুকানো অসম্ভব।’ ইরানি ড্রোন ব্যবহার করে কিয়েভে রুশ হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় এসেছে।

তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা একটি বার্তা পাঠাবে। এই বার্তাটি হলো, রুশ আগ্রাসনে সহায়তা করলে তার জন্য মূল্য দিতে হবে।

ইরানের তরফে অবশ্য ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন দেওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। উল্টো সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তেহরান। এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। তিনি বলেন, তার দেশের তরফে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের বিষয়ে প্রকাশিত খবরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পশ্চিমা উৎস থেকে এগুলো ছড়ানো হয়েছে।