তাইওয়ানের আকাশে চীনা যুদ্ধবিমান

চীন এবং তাইওয়ানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই আবারও তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের দু'টি যুুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করেছে। এনিয়ে চলতি মাসে কমপক্ষে ১৫ বার এমন ঘটনা ঘটল।
রোববার তাইওয়ান ‘এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন’-এ ঢুকে পড়ে চীনের দু’টি যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে একটি হচ্ছে সাবমেরিন শিকারি ‘শানশি ওয়াই-৮’ বিমান। এই বিমানগুলোতে অত্যন্ত আধুনিক রাডার রয়েছে যার ফলে এরা সহজেই প্রতিপক্ষের সাবমেরিন খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়।
এছাড়া, একাধিক মিসাইল ও বোমা নিয়ে ডুবোজাহাজ ধ্বংস করে বিপক্ষের নৌসেনাকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে এই বিমানগুলো। তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স’ অর্থাৎ চীনা বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান।
‘শানসি ওয়াই-৮’ নামের ওই বিমানটি ‘ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার’ বা শত্রুপক্ষের রাডার এবং যন্ত্র অকেজো করতে সক্ষম। ফলে তাইওয়ানের সামরিক ঘাঁটি ও সরঞ্জামই চীনের লক্ষ্য ছিল বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনা বিমানের গতিবিধি রাডারে ধরা পড়তেই সমস্ত মিসাইল সিস্টেম সক্রিয় করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর চীনের উপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানকে মিসাইল দেয়ার কথা ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় ১শ হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বা কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
এই অস্ত্র চুক্তি যে চীনের ওপর চাপ বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে গত ১০ আগস্ট চীনের আপত্তি উড়িয়ে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার।
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের জোরাল সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার। তারপর জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। সব মিলিয়ে চীন সামরিক পদক্ষেপ নিলে তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।